সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৩



Technical outlook and chart setups: 
As seen on the 4H chart setup here, the single currency pair has been trading within the range 125.00-130.00 in a decreasing resistance increasing support fashion. After a huge rally from sub 90.00 level to 130.00 level, the pair should retrace before rallying further, but that cannot be confirmed before break of 125.00 level. It also remains possible that the pair rallies one last time towards 132.00 level before finally reversing sharply. It is recommended to remain cautious about buying for now; rather one can book profits on short positions taken earlier and wait to sell on rallies towards 130.00 level. Resistance is at 130.20/50 levels, followed by 131.00, while immediate support for now is 125.00. Only a break of 125.00 would confirm bearish reversal. 

Trading recommendations:

Book profits on short positions. Plan to sell rallies towards 130.00 again. Good luck!


রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

ফরেক্স ট্রেডিং [পর্ব-০৫] :: ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস:ইকোনমিক ডাটা,গোল্ড এবং অয়েল ফান্ডামেন্টাল ফেক্টর


ভালো এনালিস্ট হউন, সহজ ট্রেডিং করুন। একটু সময় নিয়েই এগুতে থাকুন আমি কনফার্ম আপনি ভালো করবেন, ফরেক্স আসলে কঠিন নয়। হতে পারে আমরা কঠিন করে চিন্তা করি অথবা সহজ করে শেখার সুযোগ পাই না  অথবা তাড়াহুড়ো কিংবা অতি মাত্রার উসাহ আমাদের খতির মূল কারন হয়। তাই  প্রথমে শিখুন, শিখুন এবং শিখুন ! বিডিফরেক্সপ্রো'র সাথেই থাকুন এবং ফরেক্সকে সহজ করে শিখুন।  আর প্রশ্ন করতে চাইলে কিংবা যদি ট্রেডারদের সাথে আপনার কোন সমস্যা বিষয়ক আলোচনা করে সমাধান নিতে চান তাহলে আলোচনা শুরু করুন।

ভুমিকাঃ

ফরেক্স মার্কেটের বেসিক টার্ম শেখা শেষে এখন জানা দরকার যে কিভাবে আপনি বুঝবেন মার্কেট এখন আপ এ যাবে কিংবা ডাউন এ যাবে, আন্দাজ বা ধারণা করেও তো আর ট্রেড করা যাবে না। তাই যদি হত তাহলে এত শিখারই বা কি দরকার। অর্থা আমি বোঝাতে চাইছি আপনি কোন ট্রেড ওপেন করার আগে তার একটি ভালো ইফেক্টিভ বিশ্লেষণ করে নিতে হবে যেন আপনার অর্ডারটি পজেটিভ হয়। আর ফরেক্স মার্কেটে আপনি যত ভালো ট্রেন্ড বিশ্লেষক হতে পারবেন ততই ভালো প্রফিট করে নিতে পারবেন বা লসে পড়বেন না। আপনার প্রত্যেকটি অর্ডার আর পেছনে একটি ভালো গবেষণা থাকতে হবে। তখনই আপনি একজন ভালো ট্রেডার হতে পারবেন। যা হোক আর কথা না বাড়াচ্ছি না। ফরেক্স মার্কেটে মুলত এনালাইসিস এর জন্য অনেক পদ্ধতি আছে। আমরা একে একে পদ্ধতি গুলো আলোচনা করবো।
ফরক্সে ২ ধরণের এনালাইসিস এর মাধ্যমে আপনি ট্রেডিং শুরু করতে পারেন।
·         ১। ফান্ডামেন্টাল  এনালাইসিস
·         ২। টেকনিক্যাল এনালাইসিস
ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিকেল এনালাইসিস এর মধ্যকার পার্থক্যটা খুব সিম্পল। ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে প্রাইস যদি কোন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট একটি ডিরেকশনে যায় তখন টেকনিকেল এনালাইসিস বলতে পারে ঐ প্রাইস এর ফাইনাল বা পরবর্তী মুভ কি হতে পারে। অনেকে প্রশ্ন করে যে কোন এনালাইসিসে ট্রেড করবো। বিষয়টিকে আলাদা না করে বরং দুটি মেথডকে একসাথে অর্থা কম্বিনেশন করে ট্রেড করুন তাহলে আপনার ট্রেড হবে অনেক শক্তিশালী।

ফান্ডামেন্টাল  এনালাইসিসঃ


ফান্ডামেন্টাল  এনালাইসিসঃ

এককথায় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণে ভবিষ্য কারেন্সি প্রাইস ভেলু  নির্ধারণ বা অনুধাবন করার একটি পক্রিয়া। আরো সহজ করে বলা যেতে পারে, কোন একটি দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ঐ দেশের কারেন্সি ভেলুর যে পরিবর্তন ঘটে এবং তা বিশ্লেষণ বা বের করার যে একটি উপায় তা-ই হল ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস।
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের  মুল মন্ত্র হল ভালো অর্থনীতিতে কারেন্সি ভেলু বাড়বে এবং খারাপ অর্থনীতিতে ভেলু কমবে, যেমনঃ ইন্টারেস্ট রেইট, এমপ্লয়মেন্ট সিচুয়েশন, ট্রেড ব্যালেন্স, বাজেট, ট্রেজারি বাজেট এবং গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট ইত্যাদির ভিবিন্ন প্রভাবই হল ভিবিন্ন ধরনের ফান্ডামেন্টাল ইস্যু। আরো যেসব বিষয় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসেসের আওতায় পড়ে সেগুলো হলঃ
·         ১। গভমেন্ট ক্রাইসিস।
·         ২। সরকার বা মন্ত্রী পরিষদের বড় কোন পরিবর্তন।
·         ৩। দেশের অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশনায়।
·         ৪। আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব।
·         ৫। ইলেকশন পূর্ববর্তী সময়।
·         ৬। প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের  জন্য খুব বেশি সন্দিহানে না থেকে দু-তিনটি বিষয় ব্যাবহার এবং বিবেচনায় আপনি সহজে এই এনালাইসিস করে পারেন। সেগুলো হলঃ

ইকোনমিক ডাটাঃ

আসুন এইবার পরিচিত হই কিছু ইকোনমিক ডাটা লিস্ট এর সাথে যেসব ডাটা রিপোর্ট পাবলিশে মার্কেটের উপর ভিবিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এবং রেগুলার নিউজ ট্রেডিং এ এই ধরনের রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করে আপনি মার্কেট অস্থিতিশীলতা বা মার্কেট ভলাটিলিটি বুঝে রিস্ক ফ্রী ট্রেড করতে পারবেন। আরেকবার বলে নেয় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল দেশের বিভিন্ন অবস্থা প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে এর ইমপ্যাক্ট কেমন হতে পারে তার একটি পক্রিয়া। তাই আপনার কাছে যত বেশি ইকোনমিক ডাটা থাকবে মার্কেটের গতিবিধি সম্পর্কে আপনি ততই প্রস্তুত থাকবেন। এই মুহূর্তে সবগুলো ডাটা হয়ত অপ্রয়োজনীয় লাগতে পারে তবে রেগুলার বেসিসে যদি সব গুলো মাথায় রাখতে পারেন তাহলে এর উপকারিতে আপনি নিজেয় টের পাবেন।
·         ১। Industrial production (world):  এই রিপোর্টটি প্রকাশে বোঝা যায় একটি দেশে নির্দিষ্ট সময়ে ফ্যাক্টরি প্রোডাকশন, মাইন প্রোডাকশন এবং ইউটিলিটি কেমন হয়েছে। কারন প্রডাকশন এর উপরও ইকোনমিক গ্রোথ ডিপেন্ড করে, আর ইকোনমিক গ্রোথ ভালো হলে বুঝতেই পারছেন তা কারেন্সিকে হিট করে।
·         ২। Producer price index(PPI): এটি একটি ইন্ডিকেটর যা প্রডিউসারদের গুডস স্টক লেভেল নির্দেশ করে। প্রডিউসারদের কাছে গুডস এর প্রাইস ঊর্ধ্বগতি অর্থা কনসুমারদের চাহিদা বৃদ্ধির কারনে ঐ সব পণ্যর সেলিং ইন্টারেস্ট রেইট বৃদ্ধি পাওয়ার একটা আশংকা থাকে যা ফরেক্স মার্কেটে কমোডিটি যেমন, গ্যাস, ওয়েল এবং গোল্ড সহ বিভিন্ন কমোডিটি প্রোডাক্টের রেইট এর পরিবর্তন করে।
·         ৩। Productivity (world): এটি নির্দেশ করে যে ইনপুট এর তুলনায় প্রোডিউসড প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রেইট কেমন। যদি প্রোডিউসড ভালো হয় তারমানে ঐ প্রোডাক্ট এর গ্রোথ ভালো এবং তা মার্কেটে বড় কোন তারতম্য না তৈরি করেই মুভ করবে।
·         ৪। Business inventories (world): এই রিপোর্টটির মাধ্যমে বোঝা যায় যে নির্দিষ্ট একটি সময়ে কি পরিমান প্রোডাক্ট প্রোডিউসড হয়েছে, কি পরিমান সেল হয়েছে এবং ভবিষ্য বিক্রির জন্য কি পরিমান আছে ।  অর্থা মার্কেট চাহিদা বোঝা যায় এবং তার উপর ভিত্তি করে রেইট উঠানামার হার পরিবর্তন হয়।
·         ৫। Durable goods (US): এই রিপোর্টটি মার্কেটে প্রোডাক্টের মেয়াদকাল তথা স্থায়িত্ব নির্দেশ করে, শেষ তিন-বছরের জরিপে মোট বিক্রয় হার কেমন ছিল। অর্থা এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ে প্রোডাক্ট প্রবৃত্তি এবং কনসুমার কনফিডেন্স এর রেকর্ড নির্ধারণ করে দেয় যাতে করে পরবর্তী সেল রেইট বা মার্কেট রেসপন্স বোঝা যায়।
·         ৬। Jobless claims (US):এটি সাপ্তাহিক মোট বেকারত্তের হার নির্ধারণ রিপোর্ট করে। যে নিউজটি প্রতি বৃহস্পতি রিলিস হয়।
·         ৭। Leading economic indicator index (world): জাপান এর অর্থনীতিতে সেবা খাতের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করে।
·         ৮। TIC Data (US): মার্কিন সম্পত্তির পরিমান এবং মার্কিন বিদেশী গোষ্ঠীর পরিমান নির্ধারণ করে।
·         ৯। G7 meeting (world): এটি একটি মিটিং রিপোর্ট যা বিশ্বের ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি যেমন কারেন্সি ইস্যু সহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অর্থনীতি সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
·         ১০। Oil prices (world) এই রিপোর্টটিতে ইউ.এস কারেন্সির সাথে নেগেটিভ কো-রিলেটেশন সম্পর্কিত কারেন্সি গুলোর তথ্য প্রকাশ করা হয়। যেমন ফরেক্স মার্কেটে অয়েল প্রাইস মুভমেন্ট আপ হলে ইউ.এস.ডির মুভমেন্ট ডাউন হয়।
উপরোক্ত ইকোনমিক ডাটা গুলো রিলিসে মার্কেট প্রাইস আর তারতম্য ঘটে কারেন্সি ভেদে, ফরেক্স মার্কেটের সেন্টিমেন্টাল বুঝে ট্রেড করার জন্য এই ডাটা রিপোর্ট গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

গোল্ড এবং অয়েল ফান্ডামেন্টাল ফেক্টরঃ


ফরেক্স মার্কেটে গোল্ড এবং অয়েল এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কারন এই দুটি কমোডিটিস ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতৃস্থানীয় নির্দেশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

গোল্ডঃ

নিচের চিত্রটি দেখুন...

বিভিন্ন দেশের মাইন প্রোডাকশনে ২০১১ সালের জরিপে এককভাবে চীন এগিয়ে আছে এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং তৃতীয় হচ্ছে ইউ.এস। এভাবে বিভিন্ন বছর বিভিন্ন দেশের প্রোডাকশন সেই দেশের কারেন্সিকে হিট করে। লক্ষ্য করবেন, বেশিরভাগ সময়ে ইউ.এস GOLD এর বৃহপাদনকারী দেশ থাকা সত্ত্বেও  GOLD এর সাথে USD এর বিপরীত সম্পর্ক থাকে। এর পেছনে মুল কারন হচ্ছে GOLD’র প্রাইস সবসময় USD’র বিপক্ষে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া আরো আকটি কারন হচ্ছে মাঝে মাঝে ইনভেস্টররা তাদের কেপিটেল কে USD থেকে GOLD এ স্থানান্তর করে রাখতে বেশি সেইপ মনে করে।

অয়েলঃ

সাধারণভাবে আমরা জানি অয়েল/তেল এর মূল্য বৃদ্ধিতে বিশেষ করে ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বেড়ে যায়। সাথে সাথে ফিনিশড প্রোডাক্ট যেমন ইউটিলিটি এবং হিটিং কস্ট ও বাড়ে। যার প্রভাব বিশেষ করে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও অন্যান্য উন্নত দেশের উপর পড়ে। কিন্তু ব্যতিক্রম হল কানাডা যা বিশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল মজুদকারী দেশ এবং নিট অয়েল রপ্তানিকারক যার কারনে অয়েল প্রাইস এর সাথে কানাডিয়ান ডলারের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক দেখা যায় যা অনন্য উন্নত দেশের মধ্যে দেখা যায় না।

ফরেক্স ট্রেডিং [পর্ব-০৪] : মার্জিন, রোলওভার, অর্ডার টাইপ, প্রফিট/লস, ডেমো ট্রেড


লিভারেজঃ বা মার্জিন
এর সহজ অর্থ হল লোন। আপনার মূলধন এর উপর কত গুন লোন আপনি ব্রোকার থেকে পাবেন ট্রেড করার জন্য । অর্থা আপনার ছোট এমাউন্ট দিয়ে বড় পরিসরে ট্রেড করতে পারার সূবিধাই হল লিভারেজ। লিভারেজ ব্রোকার দ্বারা নির্দিষ্ট করা থাকে এবং একেক ব্রোকার একেক অনুপাতে লিভারেজ প্রদান করে থাকে।
লিভারেজ এর কমন অনুপাতগুলো হলঃ
·         ১:১
·         ১:২
·         ১:১০
·         ১:২০
·         ১:৫০
·         ১:১০০ থেকে ১:১০০০।
এই অনুপাতের বাম অংশটি হল আপনার মূলধন এবং ডান অংশটি হল আপনার লিভারেজ।
এখন আপনি যদি ১০০ ডলার দিয়ে ট্রেড শুরু করেন এবং ১:৫০০ লিভারেজ নেন তাহলে $১০০X৫০০= $৫০০০০ পরিমান ট্রেড করার সামর্থ্য বা ক্ষমতা আপনার চলে আসবে $১০০ দিয়ে।
ফরেক্স মার্কেটে লিভারেজ এর ব্যাবহার যেমন আপনার জন্য সুবিধাদায়ক তেমনি ক্ষতিকারকও। আপনি $১০০ একাউন্টেতো ৫০০ লিভারেজ দিয়ে যেমন ৫০০ গুন লাভ এর চিন্তা করলেন তেমনি এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে ট্রেড যদি আপনার প্রতিকুলে যায় তাহলে সেই পরিমান লস ও আপনাকে বহন করতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন আপনার তো ৫০০ গুন লস হওয়ার মত মূলধন নেই। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন , ট্রেড আপনার প্রতিকুলে গিয়ে যখনই আপনার মূলধন পরিমান লস স্পর্শ করবে তখনি আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। এইবার আপনার লিভারেজ যাই থাকুক না কেন।
তাই ট্রেড করার পূর্বে চিন্তা করে নিন আপনার মূলধন কত এবং সেই অনুপাতে কত লিভারেজ নিলে আপনি নিরাপদে ট্রেড চালিয়ে যেতে পারবেন। (উল্লেখ্য এই বিষয়টি বোঝার জন্য আপনাকে মানি ম্যানেজমেন্ট লেসনটি পড়তে হবে)।

রোলওভারঃ

হল কোন একটা পজিশন (অর্ডার) এর একদিনের বেশি মেয়াদকালে পরবর্তী সময়ের প্রাপ্ত বা পদত্ত লাভ। ফরেক্স মার্কেটে প্রতিটি মুদ্রা একটি নির্দিষ্ট ইন্টারেস্ট হারের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। আপনার ট্রেড গুলো শুধুমাত্র দুটি কারেন্সির মাধ্যমেই ঘটে না বরঞ্চ এর ভেতর দুটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারেস্ট রেইট ও কাজ করে। এই ইন্টারেস্ট রেইটে আপনাকে ইন্টারেস্ট দেওয়া বা নেওয়া হবে (১ বছর) ৩৬৫ দিন হিসেবে আপনার ট্রেডটি যতদিন রোলভার হবে ততদিনের জন্য।

বায় রোলওভারঃ

আপনি ইন্টারেস্ট লাভ করবেন যদি আপনি হায়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি ক্রয় করেন। আর আপনাকে ইন্টারেস্ট দিতে হবে যদি আপনি লাওয়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি ক্রয় করেন।

সেল রোলওভারঃ

আপনি ইন্টারেস্ট লাভ করবেন যদি আপনি হায়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি বিক্রয়  করেন। আর আপনাকে ইন্টারেস্ট দিতে হবে যদি আপনি লাওয়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি বিক্রয় করেন।
উদহারনঃ যখন আপনি EUR/USD কারেন্সি পেয়ার এ USD এর বিনিময়ে EUR বায় করেন । EUR এর ইন্টারেস্ট রেইট যদি 4.00% হয় এবং USD এর ইন্টারেস্ট রেইট যদি 2.25% হয় তাহলে আপনি হাই ইন্টারেস্ট রেইট এ বায় করার মাধ্যমে ইন্টারেস্ট পাচ্ছেন।
ঠিক একইভাবে আপনি যখন EUR  সেল করছেন তখন হাই ইন্টারেস্ট রেইট  এ সেল এর কারনে আপনাকে ইন্টারেস্ট দিতে হবে বাসরিক হারে যতদিন রোলওভার করবেন ততদিনের জন্য।

অর্ডার টাইপঃ

ফরক্সে যত আলোচনা বা যত শিক্ষা সবই কিন্তু ট্রেড করে প্রফিট এর উদ্দেশে। আর এই ট্রেড মানে হল বায় অর্ডার অথবা সেল অর্ডার। ফরেক্স মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয় এর ক্ষেত্রে বায় অর্ডার এবং সেল অর্ডার কথাগুলো বেশি রিলেভেন্ট। আমরা কখনও বায় অর্ডার করব কখনও বা সেল অর্ডার করব এটাইতো আমাদের মূল কাজ। আসুন এইবার জেনে নেয় এই অর্ডার গুলো আসলে কিভাবে কাজ করেঃ
ফরক্সে অর্ডার বলতে বোঝায় আপনি কখন ট্রেডে ডুকবেন এবং কখন ট্রেড থেকে বের হবেন। কত প্রফিট করবেন এবং কতটুকু লস মেনে নিবেন ইত্যাদি ।

উপরের কারেন্সি পেয়ারটি খেয়াল করুন,
EUR সেল/বিড = 1.4502 এবং USD বায়/আস্ক  = 1.4505
ফরেক্স মার্কেটে প্রত্যেকটি অর্ডার এর মানে হল তার বিপরীত আরেকটি ট্রেড সয়ংক্রিয়ভাবে ঘটা। যা আপনার পরিলক্ষিত হবে না। এটাই ফরেক্স এর সিস্টেম । আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি যে আপনি বায় এবং সেল এর মাধ্যমে মুলত একটি কারেন্সি দিয়ে আরেকটি কারেন্সিই সবসময় এক্সচেঞ্জ/বিনিময় করছেন। যেখানে আপনি এবং ব্রোকার দুটি পক্ষ।
বিডঃ হল বায়ার পয়েন্ট অব ভিউ এবং সেল হল আপনার (ট্রেডারের পয়েন্ট অব ভিউ ) অর্থা বায়ার এই রেইটে বায় করতে রাজি আছে আপনি চাইলে এই রেইটে সেল করতে পারবেন।
আস্কঃ আবার আস্ক হল বায়ার পয়েন্ট অব ভিউ এবং বায় হল আপনার (ট্রেডারের পয়েন্ট অব ভিউ ) অর্থা বায়ার এই রেইটে সেল করতে রাজি আছে আপনি চাইলে এই রেইটে বায় করতে পারবেন।

বায় অর্ডার প্রফিটঃ  

আপনি যখন বায় অর্ডার দেন তারমানে হল কৌওট কারেন্সি সেল করে বেস কারেন্সি ক্রয় করছেন। বিষয়টি নিপুনভাবেই ঘটবে। উপরের কারেন্সি পেয়ারটি মতে, আপনি বায় অর্ডার দিয়েছেন অর্থা, ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য আপনি ১.৪৫০৫ পরিমান কৌওট কারেন্সি (ডলার) দিচ্ছেন ।

পরবর্তীতে দেখলেন প্রাইস ভেলু বেড়ে ১.৪৬০৫ উঠেছে তখন আপনি ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলেন অর্থা আপনি বেস কারেন্সি সেল করে ঐ পরিমান কৌওট কারেন্সি ক্রয় করছেন। ১ EUR ১.৪৫০৫ ডলারে কিনে ১.৪৬০৫ ডলারে ক্রয়কৃত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলেন এবং ১০০ পিপস প্রফিট করলেন।

সেল অর্ডার প্রফিটঃ

আপনি যখন সেল অর্ডার দেন তারমানে হল বেস কারেন্সি সেল করে কৌওট কারেন্সি রিসিভ করছেন। এখানেও বিষয়টি নিপুনভাবে ঘটে। ধরি, এই মুহূর্তে EUR/USD মার্কেট প্রাইস ১.৪৫০২ ,আপনি বুঝতে পারলেন আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই প্রাইস আরো কমবে। এখন আপনি লাভ করতে চান, তাহলে EUR/USD সেল মোডে অর্ডার করুন, সেল এর মানে হল আপনি EUR সেল করে USD ক্রয় করছেন, তাহলে ১ EUR সেল করে আপনি পাচ্ছেন ১.৪৫০২ ডলার।

পরবর্তীতে যখন প্রাইস কমে গিয়ে ১.৪৪০২ এ নেমে আসলো তখন আপনি ট্রেড ক্লোজ করে দিন। ট্রেড ক্লোজ করার মানে হল আপনি আপনার ডলারগুলো সেল করে সেই পরিমান EUR কিনে নিলেন। তাহলে পতন হল ১০০ পিপসের অর্থা আপনি  কয়েক ঘন্টা আগে ১ EUR সেল করে পেলেন ১.৪৫০২ ডলার আর এখন সেই ১ EUR কেনার জন্য আপনাকে দিতে হল তারচেয়ে কম ১.৪৪০২ ডলার।

টেইক প্রফিট (TP)/স্টপ লস(SL):

আপনি যদি কোন ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ না করে আটোমেটিক ভাবে ক্লোজ করতে চান তখন আপনি টেইক প্রফিট বা স্টপ লস  ব্যাবহার করতে পারেন।
মনে করুন আপনি একটি বায় ট্রেড ওপেন করেছেন ১.৩৫০০ এই ট্রেড থেকে যদি আপনি ৫০ পিপস প্রফিট করেন তাহলে আপনাকে ১.৩৫৫০ আসার পর ক্লোজ করতে হবে, এখন এমন অবস্থা যে আপনি ট্রেডের সামনে ও বসে থাকার মত সময় নাই ঠিক তখন আপনাকে ট্রেডটি মডিফাই করে ১.৩৫৫০ তে সেভ করে দিতে হবে, ব্যাস এইবার আপনাকে আর ম্যানুয়ালি ট্রেডটি ক্লোজ করতে হবে না, প্রাইস যখন ই আপনার টার্গেট রেইট টাচ করবে ট্রেডটি ৫০ পিপস প্রফিট নিয়ে নিজে নিজে ক্লোজ হয়ে যাবে।
ঠিক একই ভাবে আপনি চিন্তা করলেন যে আপনার ট্রেডটি যদি লস এ যায় তাহলে ৩০ পিপস লস করে তা অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাক, সেইক্ষেত্রে ও আপনাকে ট্রেডটি মডিফাই করে আপনার ওপেন রেইট থেকে কমিয়ে অর্থা ১.৩৪৭০ তে সেভ করে দিতে হবে।
আপনার সেল অর্ডার আর ক্ষেত্রে একইভাবে প্রফিট এর জন্য ওপেন প্রাইস এর নিয়ে টেইক প্রফিট সেট করুন এবং ওপেন প্রাইস এর উপরে স্টপ লস সেট করুন।

পেন্ডিং অর্ডারঃ

হল পুরপুরি স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার ট্রেড টি ওপেন সহ টেক প্রফিট, স্টপ লস এবং ক্লোজ সবকিছুই আটোমেটিক ভাবে করা।
বেসিক কনসেপ্ট তো পেয়ে গেলেন আসুন এইবার একটু প্রাকটিকেল ফিল্ড থেকে ঘুরে আসি। এখন দেখাবো কিভাবে একটি ডেমো আকাউন্ট ওপেন করে এতক্ষণ যা শিখলেন তার বাস্তব রুপটা দেখে নেওয়া।
ও বলতে ভুলে গিয়েছি, ডেমো আকাউন্ট হল পুরোপুরি আপনার একটা রিয়েল আকাউন্ট এর সমরুপ পার্থক্যটা হল ডেমো আকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেড করতে পারবেন। আর রিয়েল একাউন্টে আপনাকে রিয়েল মানি দিয়ে ট্রেড করতে হবে।
তবে যারা ফরেক্সে নতুন পা দিয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ভুলেও প্রথম অবস্থাই রিয়েল মানি দিয়ে ট্রেড করতে যাবেন না। ভালো ভাবে বিষয়টি জেনে মিনিমাম ৩ মাসের একটা ভালো অনুশীলন এবং প্রাকটিকেল অভিজ্ঞতা না নিয়ে রিয়েল ট্রেড করবেন না। মোটকথা যতক্ষণ বা যতদিন পর্যন্তও আপনি ডেমো আকাউন্টে এভারেজে প্রফিট রাখতে রাখছেন না ততদিন পর্যন্ত রিয়েল মানি দিয়ে ট্রেড করার দরকার নেই।
ডেমো ট্রেড আর রিয়েল ট্রেড যে ট্রেডই করুন বা কেন আপনার ট্রেডিং ফ্লাটফর্ম বা মেটা ট্রেডার সফটওয়্যার টি লাগবে। মেটা ট্রেডার হল ট্রেডের মূল হাতিয়ার। আপনার সবকিছুই এই সফটওয়্যারের একটা আকাউন্ট আর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই বার আপনি যে ব্রোকারে ট্রেড করতে চান সেই ব্রোকার এর মেটা ট্রেডার সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। আমি ইনস্টা ট্রেডার সফটওয়ার দিয়ে দেখাচ্ছি ।

ডেমো একাউন্টঃ

মেটা ট্রেডার সফটওয়্যার টি ওপেন করার পর ফাইল মেনু থেকে Open An Account এ ক্লিক করে আপনার personal Details সহ প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিন

Next …… Next  দিয়ে আপনার লগইন নেইম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে Finish দিন।
আপনি যে পরিমান ভার্চুয়াল মানি সিলেক্ট করেছেন সেই পরিমান মানি সহ একটি আকাউন্ট তয়রই হয়েছে।
এইবার নতুন কোন ট্রেড ওপেন করতে টুলবার থেকে New Order সিলেক্ট করুন ...

দেখবেন নিচের অংশে Order প্যানেল এ আপনার নির্দিষ্ট ট্রেডটি ওপেন হয়েছে , এইবার ট্রেড মডিফাই করতে আপনার ওপেন ট্রেড এর উপর ডাবল ক্লিক করুন ...............

এখানে Type অপশন থেকে Modify Order সেলেক্ট করে টেইক প্রফিট, স্টপ লস সেট করে বড় হলুদ বাটনে ক্লিক করার মাদ্ধমে সেভ করুন।
ম্যানুয়ালি ট্রেড  ক্লোজ করতে ও ট্রেড এর উপর ডাব্ল ক্লিক করে বড় হলুদ বাটনে ক্লোজ ক্লিক করার মাধ্যমে  ট্রেড ক্লোজ করতে পারবেন।
লং : আপনি যদি মনে করেন যে বেস কারেন্সির বর্তমান দাম থেকে আরো বাড়বে তখন আপনি বায় অর্ডার দিতে পারেন অর্থা আপনি কৌওট কারেন্সি বিক্রি করে দিয়ে বেস কারেন্সি ক্রয় করলেন। মানে লং  অর্ডার করলেন। আবার দাম বাড়ার পর বেশি দামে বিক্রি করে প্রফিট করে নিলেন। বায় এর আরেকটি নাম হল লং।  Buy = Long
শর্টঃ ঠিক একইভাবে আপনি যদি বোঝেন বেস কারেন্সির বর্তমান দাম আরো কমে যেতে পারে তখন আপনি সেল অর্ডার দিবেন। অর্থা আপনি বেস কারন্সি বিক্রি করে দিয়ে কৌওট কারেন্সি বায় করলেন। এবং কম দামে বেস কারন্সি ক্রয় করে প্রফিট করে নিলেন। সেল এর আরেকটি নাম হল শর্ট । Sell = Short.
তারমানে দাড়ালো, বায় অর্ডার করে দাম বৃদ্ধিতে আপনি প্রফিট করবেন এবং দাম কমে গেলে আপনি লস করবেন। বিপরীতভাবে সেল অর্ডার করলে দাম কমলে আপনি প্রফিট করবেন এবং দাম বাড়লে আপনি লস করবেন।

ফরেক্স ট্রেডিং [পর্ব-০৩] কারেন্সি ট্রেডিং বেসিক কনসেপ্ট


কারেন্সি ট্রেডিং বেসিক কনসেপ্ট

মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে একটু দরকারি কথা বলে নেয়। ধারাবাহিকভাবে বিডি ফরেক্স প্রফেশনাল এর টিউন গুলো শেষ করুন কারন আমি টিউন গুলো এমন ভাবে করছি যাতে করে আপনি শেখার ক্ষেত্রে মিসগাইড না হোন অর্থা কোন বিষয় গুলোর পর কোন বিষয় গুলো জানতে হবে, সেটি মাথায় রেখেয় আমি টিউন করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ভিবিন্ন রকম ফরেক্স রিসোর্স সাইট ভিজিট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারন যত বেশি রিসোর্স আপনি টাচ রাখবেন তত ভালো ট্রেডার রুপে গড়ে উঠবেন। তাড়াহুড়ো করার কোন দরকার নাই, আস্তে আস্তে প্রসিড হোন, একটু সময় নিয়েই এগুতে থাকুন আপনি অবশ্যই ভালো করবেন, কারন তাড়াহুড়ো কিংবা অতি মাত্রার উসাহ আপনার খতির মূল কারন হতে পারে। তাই বারবারই একটা কথার উপর বেশি বেশি নজর দিচ্ছি, তা হল প্রথমে শিখুন, শিখুন এবং শিখুন !  আর প্রশ্ন করতে চাইলে কিংবা যদি ট্রেডারদের সাথে আপনার কোন সমস্যা বিষয়ক আলোচনা করে সমাধান নিতে চান তাহলে আপনার আলোচনা শুরু করুন।
যারা পূর্বের পর্বগুলো পড়েননি তারা চাইলে  পূর্বের পর্বগুলো পড়ে ধারাবাহিকতা রাখতে পারেন।

কারেন্সিঃ  বেসিক ট্রেডিং কনসেপ্ট

ফরেক্স আপনি যেসব শেয়ার/স্টক ক্রয় করছেন তা মুদ্রায় পূর্ণ নামে ডাকা হয় না, প্রত্যেকটি কারন্সিকে তিনটি রেফারেন্স কোড (ISO Code) এর মাধ্যমে ডাকা হয়। এইক্ষেত্রে প্রথম দুটি কোড হল ঐ দেশের নামের সংক্ষিপ্ত রুপ এবং ৩য় কোডটি হল ঐ দেশের মুদ্রার/কারেন্সির প্রথম অক্ষর। যেমনঃ United (U) States (S) Dollar (D)  = USD. Great (G) Britain (B) Pound (P)= GBP
ফরেক্স মার্কেটে প্রত্যেকটি কারন্সি এককভাবে না থেকে জোড়ায় জোড়ায় থাকে তার কারন একটির বিপরীতে আরেকটি এক্সচেঞ্জ করার জন্য।

জোড়ার প্রথম কারেন্সিকে Base কারেন্সি এবং দ্বিতীয় কারেন্সিকে Quote/Counter/Ref/Term কারেন্সি বলা হয়।
কারেন্সির ধরন এর উপর ভিত্তি করে এগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে হয়েছেঃ

Major কারেন্সিঃ

বলা হয় ঐ সকল কারেন্সি জোড়াকে যেসকল কারেন্সি জোড়ার সাথে USD কারেন্সিটি থাকবে এবং সবচেয়ে বেশি পরিমান ট্রেড হয় যেসকল কারেন্সিতে। মেজর কারেন্সি Base অথবা Quote যেকোন ভাবে থাকতে পারে। যেমনঃ

তবে ৩টি কারেন্সি আছে যেগুলোকে মেজর কমোডিটি (Major Commodity) কারেন্সিও বলা হয়, কারেন্সিগুলো হলঃ
·         ১। USD/CAD
·         ২। AUD/USD
·         ৩। NZD/USD

ক্রস কারেন্সিঃ

আর যেসকল কারেন্সি পেয়ার এর সাথে USD কারেন্সিটি থাকবে না সেসকল কারেন্সি পেয়ারকে ক্রস কারন্সি বলা হয় এবং এ কারেন্সি গুলোতে ট্রেড এর পরিমান ও মেজর কারেন্সির তুলনায় কিছুটা কম। যেমনঃ

ডিরেক্ট কৌওট (Direct Quote):

আপনি যেদেশের ট্রেডার সেই দেশের কারেন্সি হল আপনার জন্য লোকাল কারেন্সি, হোম বা ডোমেস্টিক কারেন্সি। ডিরেক্ট কৌওটে বেস কারেন্সিই হল লোকাল বা ডমেস্টিক কারেন্সি। এইক্ষেত্রে ১ ইউনিট ফরেন/ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সি ক্রয়ের জন্য আপনার কত ইউনিট লোকাল কারেন্সি দরকার তা-ই বোঝায়। যেমন একজন ইউ.এস ট্রেডার যদি কানাডিয়ান ডলারের সাথে ট্রেড করে তাহলে পেয়ারটি হবে USD/CAD. তাহলে ১ ইউনিট কানাডিয়ান ডলারের জন্য ০.৮৫০৫ ইউ.এস ডলারের প্রয়োজন ।
ডিরেক্ট কৌওট কারেন্সিঃ
·         - USD/JPY
·         - USD/CAD
·         - USD/CHF

ইন্ডিরেক্ট কৌওট (Indirect Quote):

হল ১ ইউনিট লোকাল কারেন্সি ক্রয়ের জন্য কত ইউনিট ফরেন কারেন্সি দরকার। ইন্ডিরেক্ট কৌওটে ফরেন কারেন্সি হল বেস কারেন্সি। অর্থা CAD/USD হল ইউ.এস ট্রেডারের জন্য ইন্ডিরেক্ট কৌওট তাহলে ১ ইউনিট ইউ.এস ডলারের জন্য ১.১৫০০ ইউনিট কানাডিয়ান ডলার প্রয়োজন।
 ইনডিরেক্ট কৌওট কারেন্সিঃ
·         - EUR/USD
·         - GBP/USD
·         - AUD/USD

কারেন্সি পেয়ারঃ

একটু আগে বলেছি যে ফরেক্স মার্কেট এ প্রত্যেকটি কারেন্সি জোড়ায় থাকে, আসুন আইবার পরিষ্কার হওয়া যাক কেন ?
আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট এর যেকোন শেয়ার এর মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়, অর্থা যেকোন দেশের শেয়ার এর মূল্য সেদেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হয়। কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে কোন শেয়ার এর মূল্য সেদেশের মুদ্রার বিপরীত নির্ধারিত হয় না । ফরেক্স মার্কেটে এটা সম্ভব নয়। ফরেক্স মার্কেটে একটি মুদ্রার অনেক গুলো দেশভিত্তিক অনেক রকম হবে, যেমন 1 USD ক্রয় করতে হলে বাংলাদেশে বর্তমানে ৮০ টাকা লাগবে, ইউরো দিয়ে ক্রয় করলে প্রায় .৮০ ইউরো লাগবে অথবা ১.১৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার লাগবে । এখন তাহলে বলুন ডলারের মূল্য আসলে কোনটি ? এই জন্য ফরেক্স মার্কেট কারেন্সি পেয়ার এর মাধ্যমে ট্রেড হয়, থাকে যাতে করে যেদেশের মানুষ সে দেশের মুদ্রার মূল্য শেয়ার পেতে পারে।
উধহারন সরুপঃ
যদি EUR/USD = 1.3035 থাকে তাহলে বুঝতে হবে, EUR ক্রয় করতে আপনার 1.3035 USD প্রয়োজন হবে।
যদি USD/JPY = 77.87  থাকে তাহলে বুজতে হবে, USD ক্রয় করতে  আপনার 77.87 JPY প্রয়োজন হবে।

পিপসঃ

পিপস এর বিস্তৃত রপ হল পারসেন্টেজ ইন পয়েন্ট (Percentage in Point) ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি রেইট এর ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনই হল পিপ। আরো সহজ করে বললে দশমিক এর পরে চতুর্থ সংখ্যার প্রতি একক এর পরিবর্তনই হল পিপ।  অর্থা কোন কারেন্সি রেইট যদি ১.২৫০০ থেকে পরিবর্তন হয়ে ১.২৫১০ এ যায় তাহলে খেয়াল করুন, ১.২৫০০-১.২৫১০ = ১০ পয়েন্ট এর একটি ব্যাবধান ঘটেছে আর এই ১০ পয়েন্টের পরিবর্তনই মানে হলে ১০ পিপস।
উদহারন   EUR/USD বর্তমান পাইস 1.3550 কিছুক্ষণ পর তা হল  1.3555
তাহলে কি দাড়াল ? = 1.3550 to 1.3555 = 5 , মানে ৫ পয়েন্টস বা পিপস বৃদ্ধি পেল।

উদহারন    GBP/CHF বর্তমান পাইস 1.5245 কিছুক্ষণ পর তা হল  1.5240
তাহলে কি দাড়াল ? = 1.5245 to 1.5240 = 5 , মানে ৫ পয়েন্টস বা পিপস কমে গেল।

পিপেটিঃ

মাইক্রো লট ব্রোকারে ট্রেড করার সময় খেয়াল করবেন সেখানে কারন্সি রেইট এর ক্ষেত্রে দশমিক এর পরে ৫ সংখ্যা পাবেন, এইরূপ ক্ষেত্রে ৫ম সংখাটি হল পেপেটি। কনফিঊসড হওয়ার কোন কারন নাই। পরবর্তী লট আলোচনায় তা পরিষ্কার বুজতে পারবেন।
ছবিটি লক্ষ্য করুন দশমিক এর পড়ে ৫ম ডিজিট হল ফ্রেকশনাল পিপস বা পিপেটিস

যেমনঃ ১.২৫৫০১ থেকে যদি পরিবর্তন হয়ে ১.২৫৬০১ হয় তাহলে বুজতে হবে ১০০ পিপেটিস পরিবর্তন হয়েছে। অর্থা ১০ পিপস এর পরিবর্তন হয়েছে।

লটঃ

ফরেক্স লট হল আপনার ট্রেডের সাইজ বা আপনার কারেন্সির পরিমান যা দিয়ে আপনি বায় অথবা সেল করবেন। অর্থা আপনি যখন ট্রেড আরম্ভ করবেন তখন আপনার ট্রেড ওপেন এ পিপস ভেলু যে হারে নির্ধারিত হবে তাই লট। ফরেক্স ট্রেড এর সুবিধা অনুযায়ী ৩ ধরনের লট নির্ধারণ করা হয়েছে।
১। স্ট্যান্ডার্ড একাউন্ট             ১ লট   = $১০ প্রতি পিপস
২। মিনি একাউন্ট                 ১ লট   = $১ প্রতি পিপস
৩। মাইক্রো একাউন্ট             ১ লট   = $০.১০ প্রতি পিপস
অর্থা আপনি যদি স্ট্যান্ডার্ড লট সাইজে ট্রেড করেন তাহলে প্রাইস যদি আপনার অনুকুলে ১০ পিপস যায় তাহলে আপনার লাভ হবে ১০X$১০= $১০০। অনুরপ পাইস আপনার প্রতিকুলে ১০পিপস গেলে আপনার লস ও হবে $ ১০০।
মিনি লট এ যদি ট্রেড করেন প্রাইস যদি আপনার অনুকুলে ১০ পিপস যায় তাহলে আপনার লাভ হবে ১০X$১= $১০। অনুরপ পাইস আপনার প্রতিকুলে ১০পিপস গেলে আপনার লস ও হবে $ ১০।
এবং মাইক্রো লট এ যদি ট্রেড করেন প্রাইস যদি আপনার অনুকুলে ১০ পিপস যায় তাহলে আপনার লাভ হবে ১০X$.১০= $১। অনুরপ পাইস আপনার প্রতিকুলে ১০পিপস গেলে আপনার লস ও হবে $ ১।

ব্রোকার ভিত্তিক লট সাইজ এবং পিপস ভেলুঃ

ফরেক্সে যেমন বড় ইনভেস্টর আছে তেমনি আছে ক্ষুদে ইনভেস্টর ও , সকল শ্রেণীর মানুষ তথা যার কাছে যে পরিমান মূলধন আছে ট্রেড করার জন্য সে যাতে সে পরিমান মূলধন দিয়ে নিরাপদে ট্রেড করতে পারে সে জন্য ব্রোকাররা ভিবিন্ন রকম একাউন্ট টাইপ এর মাধ্যমে ট্রেডার জন্য সে সুবিধা নিশ্চিত করেছে। ব্রোকারদের লট সাইজ হিসেবে একাউন্টগুলো হলঃ
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারঃ
          স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০/পিপস
০.১      স্ট্যান্ডার্ড লট = $১/পিপস
০.০১   স্ট্যান্ডার্ড লট = $০.১০/পিপস
 মিনি লট ব্রোকারঃ
         মিনি লট = $১/পিপস
০.১      মিনি লট = $০.১০/পিপস
০.০১   মিনি লট = $০.০১/পিপস
মাইক্রো  লট ব্রোকারঃ
         মাইক্রো লট = $০.১০/পিপস
০.১      মাইক্রো লট = $০.০১/পিপস
০.০১    মাইক্রো লট = $০.০০১/পিপস

স্প্রেডঃ

বিড এবং আস্ক রেইট এর মধ্যবর্তী পরিবর্তনই হল স্প্রেড। এটি মুলত ব্রোকারের কমিশন বা চার্জ । বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ার এবং ব্রোকার ভেদে স্প্রেড কম-বেশি হতে পারে। তবে কমন কারেন্সি এবং এভারেজ স্প্রেড সাধারণত ২-৩ পিপস এর মধ্যে থাকে।
খেয়াল করবেন আপনি যখন কোন একটা রেইট এ অর্ডার মেইক করেন, দেখবেন সাথে সাথে ৩ (কারন্সি ভেদে কম বেশি ) পিপস মাইনেস এ থাকে।

উদহারনঃ  ধরি আপনি $১ পিপ ভেলু দিয়ে ১.৩৭৫৫ এ একটি বায় অর্ডার করেছেন এখন যদি এই ট্রেড থেকে আপনি $৫ লাভ করতে চান তাহলে আপনার অর্ডার রেইট থেকে ৮ পিপস বেড়ে (৩ পিপস স্প্রেড) ১.৩৭৬৩ তে আসতে হবে। এভাবেই আপনার ট্রেড গুলো সম্পূর্ণ হবে বিভিন্ন কারন্সি ভেদে বিভিন্ন স্প্রেড রেইটে।