শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৩

ট্রেডার হওয়ার ৫টি ধাপ

ধাপ -১ (অচেতনে অযোগ্যতা)
এটা হল প্রথম ধাপ যখন আপনি সবেমাত্র ফরেক্স সম্পর্কে জানতে শুরু করেছেন। আপনি জানেন যে ফরেক্স অর্থোপার্জনের একটা সহজ রাস্তা, কারন আপনি ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছেন যে ফরেক্স ট্রেড পারলে টাকা আয় করা কোন ব্যাপার নয়। তাই দুর্ভাগ্যবশত আপনি মনে করবেন এটা অনেক সহজ, ঠিক আপনার প্রথম গাড়ি চালানো শিখার ইচ্ছার মত যেটা আপনি মনে করেছেন সহজ হবে, সবচেয়ে বড় কথা আর কত কঠিনইবা হবে?
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আপনি অনেক বেশী ট্রেড করবেন এবং প্রচুর রিস্ক নিবেন, ঠিক যেমন আপনি গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের সামনে প্রথম হাত রেখেছিলেন কিন্তু জানতেন না যে আপনি কি করছেন। যখন আপনি একটা ট্রেড করবেন এবং সেটা আপনার বিপক্ষে যাবে, তখন আপনি সেটা ক্লোজ করে বিপরীত ট্রেড নিবেন এবং সেটাও বিপক্ষে যাবে এবং এরকম হতেই থাকবে।

আপনার শুরুর দিকে কিছু প্রাথমিক সাফল্য থাকতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার জন্য আরো খারাপ হবে, কারণ সেটা আপনার ব্রেইনকে বলবে যে ফরেক্স তো আসলেই সহজ এবং তার ফলে আপনি আরো বেশি রিস্ক নিতে শুরু করবেন।

আপনি আপনার প্রতিটা লস পূরণের জন্য ট্রেড সাইজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ করে দিবেন । তাতে মাঝেমাঝে কাজ হবে কিন্তু বেশিরভাগ সময় আপনার একাউন্টের ক্ষতি হবে। আপনি আপনার অযোগ্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অন্যমনস্ক থাকবেন। 

এই প্রথম ধাপ সাধারণত এক-দু সপ্তাহ স্থায়ী হবে।





ধাপ ২ - সচেতনে অযোগ্যতা

দ্বিতীয় ধাপে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি যেমনটি ভেবেছেন ফরেক্স আসলে ঠিক তেমনটি নয় , এখানে আপনাকে আরো বেশি কাজ করতে হবে। আপনি সচেতনভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার রেগুলার প্রফিট করার মত যোগ্যতা বা জ্ঞান নেই।

এরপর আপনি ইউএসএ থেকে ইউক্রেন দুনিয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘোরাঘুরি শুরু করবেন , বিভিন্ন সিস্টেম এবং ইবুক দেখবেন , এবং সর্বোপরি হোলী গ্রেইল খোজা শুরু করবেন। এই সময় আপনি হয়ে যাবেন একজন "সিস্টেম যাযাবর"। আপনি একটা ট্রেডিং মেথড ঠিকমত কাজ করে কিনা ভাল করে পরীক্ষা না করে দিনের পর দিন এবং সপ্তাহের পর সপ্তাহ একটি ট্রেডিং মেথড থেকে আরেকটি দেখতে থাকবেন। যখনি আপনি নতুন একটা ইন্ডিকেটর দেখবেন আপনি ভাববেন এটাই আপনার পুরো ট্রেডিং পাল্টে দিবে এবং আপনাকে রেগুলার প্রফিট এনে দিবে।


আপনি মেটাট্রেডারে এক্সপার্ট এডভাইসর টেস্ট করতে থাকবেন। আপনি মুভিং এভারেজ, ফিবোনেসি লাইন, সাপোর্ট-রেসিসট্যান্স, পিভট, ফ্র্যাক্টাল, Divergence, DMI, ADX এরকম শতশত ইন্ডিকেটর নিয়ে খেলা করতে থাকবেন শুধু এই আশায় যে আপনার ম্যাজিক সিস্টেম আজই শুরু হয়ে যাবে। আপনি ইন্ডিকেটর দিয়ে সঠিক রিভার্সাল পয়েন্ট খোজার আশায় টপ & বটম ধরার চেষ্টা করবেন। শেষমেষ দেখবেন আপনি পরাজিত ট্রেডের পিছনে ছুটতেই থাকছেন এমনকি নতুন করে ট্রেড যোগ করছেন কারণ আপনি জানেন আপনি সঠিক। 

আপনি বিভিন্ন লাইভ চ্যাট রুমে যাবেন এবং দেখবেন অন্যান্য ট্রেডাররা অনেক পিপস লাভ করছে । আপনি ভাববেন আপনি কেন পারছেন না। আপনি মিলিয়ন মিলিয়ন প্রশ্ন করতে থাকবেন যার মধ্য কতগুলো এমন প্রশ্ন যে যেগুলো দেখে চ্যাটরুমের অন্যান্য মানুষজন আপনাকে মূর্খ মনে করবে। অবশেষে আপনার মনে হবে যে ঐসব ট্রেডাররা যারা পিপসের পর পিপস লাভ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং নিশ্চয়ই ডেমো অ্যাকাউন্টের স্ক্রীনশট দিচ্ছে। কারণ আপনি ফরেক্স সম্পর্কে গবেষণা করেছেন, আপনি ঐসব সফল ট্রেডাররা যা জানে তার সবই জানেন, কিন্তু আপনি লাভ করছেন না , তার মানে ঐসব ট্রেডাররা মিথ্যা বলছে। কিন্তু তারা দিনের পর দিন ফরেক্স ট্রেড করছে এবং তাদের একাউন্ট ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে যেখানে আপনার একাউন্ট শুধুই হ্রাস পাচ্ছে। 

আপনি টিনএজারদের মত হবেন। টিনএজারদের সবাই ফ্রি উপদেশ দেয় কিন্তু কেউ শোনেনা। আপনাকেও সবাই উপদেশ দিবে ফরেক্স সম্পর্কে, কিন্তু আপনি আপনার মত একগুঁয়ে থাকবেন এবং ভাববেন আপনি তো সবই জানেন। আপনি আপনার মত বেশি বেশি ট্রেড করতে থাকবেন। আপনি অন্যান্য সফল ট্রেডারদের সিগন্যাল ফলো করবেন। কিন্তু যখন সেটা কাজ করবে না তখন আপনি অন্যান্য সিগন্যাল প্রোভাইডার থেকে কিনে সিগন্যাল ব্যবহার করতে চাইবেন। সেটাও আপনার জন্য কাজ করবে না।

আপনি কিছু "গুরু"র কাছে যাবেন যারা আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার বানিয়ে দিতে রাজী হবে, অবশ্যই কিছু ফি এর বিনিময়ে। সেই গুরু ভাল হোক বা না হোক আপনি কিছুই শিখতে পারবেন না কারণ সময়ের কোন বিকল্প নেই, এবং আপনি এখনো মনে করে আছেন আপনি সবই জানেন। 

এই ধাপ বছরের পর বছর স্থায়ী হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য ট্রেডারদের সাথে কথা বলা নিশ্চিত করে এই ধাপ সহজেই ১ বছর থেকে ৩ বছরের কাছাকাছি স্থায়ী হতে পারে। এই ধাপে আপনি নিছক হতাশার কারণেও ফরেক্স ট্রেডিংকে বিদায় জানাতে পারেন। 

৬০% এর মত নতুন ট্রেডার প্রথম ৩ মাসেই ফরেক্সকে বিদায় জানাবে, এবং এটি ভাল। একবার ভাবুন, ট্রেডিং যদি এতই সোজা হত তবে আমরা সবাই সহজেই মিলিয়নিয়ার হয়ে যেতাম । অন্য ২০% এক বছরের মত যাবে এরপর হতাশার কারণে অতিরিক্ত রিস্ক নিয়ে তাদের একাউন্ট উড়িয়ে দিবে । 

যেটা আপনাকে আশ্চর্য করতে পারে সেটা হল বাকী ২০% ৩ বছরের মত টিকে থাকবে, এবং তারা ভাববে তারা নিরাপদ আছে। কিন্তু ৩ বছর পরেও শুধুমাত্র ৫-১০% চালিয়ে যাবে এবং ধারাবাহিকভাবে লাভ করতে থাকবে।

(বাই দ্য ওয়ে, এইসব ফিগার কিন্তু রিয়েল। এমন নয় যে আমার মাথায় এসেছে আর আমি লিখে গিয়েছি। তাই যখন ৩ বছর হবে তখন ভাববেন না যে এখান থেকে সোজা আপনি সফল হয়ে যাবেন। আমার বহুলোকের সাথে এই ফিগারগুলো নিয়ে তর্ক হয়েছে। মজার ব্যাপার হল তারা কেউ ৩ বছরের বেশি সময় ধরে ট্রেড করছে না। যদি আপনি মনে করেন আপনি ভাল জানেন তাহলে কোন ফোরামে এমন কাউকে প্রশ্ন করুন যে ৫ বছর ধরে ট্রেড করছে। জিজ্ঞেস করুন ১০০% দক্ষ হতে কত সময় লেগেছে। সামান্য ব্যতিক্রম থাকতে পারে কিন্তু আমি এখনো এমন কাউকে দেখিনি। )

অবশেষে আপনি এই ধাপ থেকে উঠে আসতে শুরু করবেন। আপনি সম্ভবত আপনার প্রত্যাশার চাইতেও বেশি সময় এবং অর্থ শেষ করেছেন, আপনার ২-৩ টা লাইভ একাউন্ট জিরো হয়ে গেছে, কিন্তু ফরেক্স এখন আপনার রক্তে বহমান......ফরেক্স ইন দ্যা ব্লাড।

একদিন আপনি ৩য় ধাপে পৌছাবেন।

ধাপ ৩ - ইউরেকা !!

ধাপ ২ শেষের পথে আপনি বুঝবেন সিস্টেমে আসলে কোন সমস্যা নেই, যেটা আপনি মনে করেছিলেন। আপনি বুঝতে শুরু করবেন সিম্পল মুভিং এভারেজ দিয়েও টাকা কামানো সম্ভব যদি আপনি সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট প্রয়োগ করতে পারেন। আপনি সাইকোলজি নিয়ে বিভিন্ন ইবুক পড়তে শুরু করবেন এবং ঐসব বইয়ে বর্ণীত বিভিন্ন চরিত্র মেলাতে থাকবেন। অবশেষে ইউরেকা মোমেন্টে এসে পৌছাবেন। 

এই ইউরেকা মোমেন্ট আপনার ব্রেইনে নতুন এক সংযোগ তৈরি করবে। আপনি হঠাৎ বুঝতে পারবেন আপনি কেন, পৃথিবীর কেউ মার্কেটের পরবর্তী ১০ সেকেন্ডে কি হবে সেটা অনুমান করতে পারবেনা, ২০ মিনিট তো পরের কথা। 

এই বোধের কারণে আপনি অন্যরা কে কি বলে, এই নিউজ মার্কেটে কি প্রভাব ফেলবে বা ঐ ইভেন্ট কিরকম হবে সেগুলো চিন্তা করা বন্ধ করবেন। আপনি ট্রেড করবেন আপনার নিজস্ব মেথডে। 

আপনি শুধু ১টা সিস্টেম নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন যেটা আপনার সাথে যায়, আপনি খুশি হতে শুরু করবেন, এবং আপনার লস ডিফাইন করে দেয়া শুরু করবেন।

আপনি আপনার সিস্টেমে ভাল দেখায় এমন প্রতিটি ট্রেড নেয়া শুরু করবেন। যখন খারাপ ট্রেড হয় তখন আপনি আর রাগ করবেন না, কারণ আপনি বুঝবেন এটা আপনার দোষ নয়। আপনি তাড়াতাড়ি ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন যখন বুঝবেন এটা খারাপ ট্রেড। আপনি বুঝবেন এরপরের ট্রেড অথবা তার পরের ট্রেড হয়তো ভাল হবে কারণ আপনি জানেন আপনার সিস্টেম কাজ করে।

আপনি ট্রেড টু ট্রেড রেজাল্ট দেখা বন্ধ করবেন এবং সাপ্তাহিক রেজাল্ট দেখা শুরু করবেন । কারণ আপনি জানেন ১ টা খারাপ ট্রেড ১টা সিস্টেম কে খারাপ বানায় না।

আপনি হঠাৎ বুঝবেন ট্রেডিং গেম হচ্ছে শুধু ১টা ব্যাপার নিয়ে, সেটা হল আপনার সিস্টেমের প্রতিটা ট্রেড নেয়ার শৃঙ্খলা এবং দৃঢ়তা, কারণ আপনি জানেন সম্ভাব্যতা আপনার পক্ষেই থাকবে। 

আপনি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট , লেভারেজ ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পর্কে শিখবেন এবং ১ বছর আগে আপনাকে যারা এই বিষয়ে শিখতে উপদেশ দিয়েছিল তাদের মনে করে মুচকি হাসবেন। আপনি তখন তৈরি ছিলেন না, কিন্তু এখন আপনি তৈরি। ইউরেকা মোমেন্ট তখনই আসবে যখন আপনি বুঝবেন যে আপনি মার্কেট সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন না।




ধাপ ৪ - সচেতনে যোগ্যতা

আপনি তখনই ট্রেড করছেন যখন আপনার সিস্টেম ট্রেড করতে বলছে। আপনি যত সহজভাবে লাভ করেন তেমন সহজভাবেই লস মেনে নেন। আপনি এখন আপনার উইনিং ট্রেডকে তাড়াতাড়ি ক্লোজ না করে শেষ পর্যন্ত রাখেন । আপনি জানেন আপনার সিস্টেম যতগুলো লস ট্রেড করে তারচেয়ে বেশি লাভজনক ট্রেড করে এবং যখন আপনার ট্রেড লসে যায় তখন আপনি ক্লোজ করে দেন (আগের মত আরো পজিশন অ্যাড না করে)।

আপনি এখন এমন এক পর্যায়ে যেখানে বেশিরভাগ সময় আপনার একাউন্ট Break Even হয় (লাভ লস সমান সমান)।. হয়ত এই সপ্তাহে ১০০ পিপস লাভ করলেন তো পরের সপ্তাহে ১০০ পিপস লস করলেন। এই পর্যায়ে আপনি টাকা হারাচ্ছেন না, আপনি Break Even করছেন। আপনি এখন জানেন আপনি ভাল ট্রেড গুলোই করছেন এবং চ্যাটরুমে আপনি অন্যান্য ট্রেডারদের সম্মান পাচ্ছেন এবং অনেককে সিগন্যালও দিচ্ছেন। আপনাকে এখনো অনেক পথ যেতে হবে এবং যতই আপনি সামনে এগুবেন ততই আপনি লস করার চাইতে লাভ বেশি করবেন। 

আপনি দিন শুরু করবেন ২০ পিপস লাভ করে, কিন্তু পরক্ষনেই ৩৫ পিপস লস করবেন কিন্তু আপনার মানসিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না কারণ আপনি জানেন যে সে পিপস গুলো আবার ফিরে আসবে। আপনি এখন প্রতি সপ্তাহে ধারাবাহিক লাভ করতে থাকবেন , এই সপ্তাহে ২৫ পিপ্স তো পরের সপ্তাহে ৫০ পিপস এভাবেই যেতে থাকবে। 

এই ধাপ ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।


ধাপ ৫ - অচেতনে যোগ্যতা 

এখন আপনি ড্রাইভিং করছেন। প্রতিদিন আপনি আপনার চেয়ারে বসেন এবং ট্রেড করেন। আপনি এখন সব করেন অচেতনভাবে। আপনি এখন অটো পাইলট চালাচ্ছেন। আপনি এখন বড় ট্রেড করছেন । দিনে ২০০ পিপস লাভ করা কিংবা ১ পিপ লাভ করা সমান, কোনটাই আপনার কাছে কোন আনন্দ/উচ্ছাস তৈরি করতে পারে না। 

আপনি এখন ফোরামে দেখেন নতুনরা চিৎকার করছে "Go Dollar GO" যেন তারা ঘোড়ার রেসে বাজী ধরেছে , এদের মাঝে আপনি অনেক বছর আগের নিজেকে ফিরে পান। 

এটা হল ট্রেডিং এর কল্পনারাজ্য। আপনি আপনার অনুভুতি আয়ত্ত করেছেন, এবং আপনি এখন এমন একজন ট্রেডার যার একাউন্ট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। 

আপনি এখন ট্রেডিং চ্যাট রুমের স্টার এবং অন্যান্য ট্রেডাররা আপনি কি বলছেন সেটা শোনে। আপনি তাদের প্রশ্নের মাঝে অনেক বছর আগের নিজের করা প্রশ্নগুলোই ফিরে পান। আপনি আপনার মত উপদেশ দিতে থাকেন, কিন্তু জানেন কেউ আপনার উপদেশ শুনবে না, কারণ তারা বেশিরভাগই সেই একগুঁয়ে - টিনএজার। তাদের কেউ কেউ আপনার অবস্থানে আসবে, কেউ দ্রুত, কেউ দেরীতে। সাধারণত এদের ডজনের পর ডজনই ধাপ ২ অতিক্রম করতে পারবে না, শুধু কয়েকজন বাদে। 

ট্রেডিং এখন আপনার কাছে কোন উচ্ছাস/আনন্দের কিছু নয়, বরং কিছুটা বিরক্তিকর, যেমন আপনি আপনার বর্তমান চাকুরী/পড়ালেখা আপনার বিরক্তিকর লাগে তেমনই ট্রেডিংও বিরক্তিকর হয়ে উঠে। আপনি আপনার জব করছেন। 

আপনি এখন আপনার সিস্টেম শান দিচ্ছেন কিভাবে কম রিস্কে বেশি প্রফিট আনা যায়। আপনার সিস্টেম পরিবর্তন হচ্ছে না, শুধু দিনের পর দিন ভাল হচ্ছে। 

আপনি এখন মাথা তুলে বলতে পারেন "আমি একজন কারেন্সি ট্রেডার", কিন্তু সত্যি বলতে আপনার করতে ইচ্ছা করবে না , কারণ এটা আপনার কাছে অন্য যেকোন জবের মতই লাগবে। 

আমার মনে হয় আপনার এই "একজন ট্রেডারের মনের ভিতরের ভ্রমণ" আনন্দদায়ক হয়েছে এবং হয়তো আপনার নিজের কোন পয়েন্ট এখানে খুজে পেয়েছেন। 

মনে রাখবেন , শুধুমাত্র ৫% ট্রেডারই টিকে থাকতে পারবে। এটার কারণ যোগ্যতা নয়, টিকে থাকার শক্তি। টিকিয়া থাকাটাই বড় সার্থকতা। অতিকায় হস্তি লোপ পেয়েছে, কিন্তু ক্ষুদ্র তেলাপোকা এখন টিকিয়া আছে।

তারাই লুজার হয় যারা খুব দ্রুত বড়লোক (get rich quick) হতে চেয়েছে। 

আমি খুশিমনে বলতে পারি যে 'get rich quick' এই আশায় আমিও ট্রেডিং শুরু করেছিলাম , কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি ট্রেডিং হচ্ছে 'get rich slow'।

আপনি যদি ফরেক্স ছেড়ে দিতে চান তবে আপনাকে একটা উপদেশ দিতে পারি - 

আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করুন - "আপনি কত বছর স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন যদি জানতেন শেষে আপনার জন্য বছরে মিলিয়ন ডলার বেতনের একটা চাকরী অপেক্ষা করছে?"

একজন ফরেক্স ট্রেডারের আত্মকাহিনী

অয়ন একজন ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি নেটে টুকটাক কাজ করে। সে অনেক দিন থেকেই ফরেক্সের কথা শুনেছে, কিন্তু কোন বিস্তারিত আইডিয়া নেই। অনেক জায়গায় বিজ্ঞাপন দেখেছে $১০০ ডিপোজিট করলে মাসে $১০০০ আয়ের নিশ্চয়তা। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল সে ফরেক্স করবে।
ফরেক্স কিভাবে করা যায়? এক ব্লগে দেখল জাফর নামে একজন একটি ব্লগ পোস্ট করেছে "ফরেক্স শিখুন, আনলিমিটেড আয় করুন", তা দেখে তো অয়ন খুশী হল। ভাবল এবার তার কাছে নিশ্চয়ই ফরেক্স শেখা যাবে। পোস্ট থেকে জাফরের ফোন নাম্বার নিয়ে ফোন করল। জাফর বলল, ফরেক্স অনেক কঠিন। কিন্তু আমরা অনেক এক্সপেরিয়েন্সড ট্রেডার। আমরা আপনাকে সিগন্যাল দিয়ে সাহায্য করব। আপনাকে আমাদের রেফারেল দিয়ে $১০০০ ডিপোজিট করতে হবে। আয়ন তারপর ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করল। ২-৩ দিন ট্রেড করে দেখল ভালই লাভ হচ্ছে। তারপর সে ভাবল এখন রিয়েল ট্রেড শুরু করে দেয়া দরকার। বড়লোক হবার আর বেশী দেরি নেই।
অনেক কষ্টে বাসা থেকে $১০০০ কেনার মত টাকা জোগাড় হল। ফরেক্সে $১০০০ ডিপোজিট করল জাফর ভাইয়ের আন্ডারে। ডিপোজিট করার পর জাফর ভাইকে ফোন করলে তিনি আর ধরছেন না। ডিপোজিট করা শেষ, এখন ফোন ধরার কি প্রয়োজন, অয়ন ট্রেড করলে তিনি তো কমিশন পাবেনই। আয়ন এরপর ভাবল নিজেই ট্রেড করবে। বেবিপিপস পড়ে এবং ইন্টারনেট থেকে সে শিখল সব সময় কোন রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে হবে, লোভ করা যাবে না, অ্যানালাইসিস করতে হবে। ভাবল এই জিনিস গুলো তো সে জানত না!!
শুরু হয়ে গেল আয়নের ট্রেডিং। প্রথম দিন ০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লটে ১০ সেন্ট পিপস পিপস ভ্যালু দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করল। প্রথম ট্রেডেই ১০০ পিপস প্রফিট। $১০০০ থেকে $১০১০ হয়ে গেল। ২য় ট্রেডে আবার $১২ ডলার প্রফিট। ইন্ডিকেটর দেখে ট্রেড করছে, স্টপ লস, টেক প্রফিট ব্যবহার করছে। এভাবে ১০টা ট্রেড করল। ৩টা লস, ৭ টাতে প্রফিট। ৩ দিনে ব্যালেন্স এখন $১০৯৫।
নতুন চিন্তা আসলো আয়নের মাথায়। লাভ তো হচ্ছে। ০.০১-০.০২ লটে সে ট্রেড করছে এখন। লট সাইজ তা যদি একটু বাড়ানো যেত, লাভটা আরও বেশী আসতো। সবাই প্রতিদিন কয়েকশো ডলার লাভ করে আর সে কিনা মাত্র $৯৫ ডলার লাভ করেছে ৩ দিনে? এবার থেকে সে ০.০৫ লটে ট্রেড শুরু করে দিল। প্রথম ট্রেডেই $২৫ লস। ২য় ট্রেডে অবশ্য $৫০ লাভ হল। তারপরের ট্রেডে $৩০ ডলার। লাভ বেড়েই চলেছে। আয়ন এবার লট সাইজ ডাবল করে দিল। পার পিপস $১ করে। ১ দিনেই $২৩০ লাভ করে ফেলল। তারপরের ১ সপ্তাহে লাভ লস মিলিয়ে ব্যালেন্স $২৫০০ হয়ে গেছে। এখন আয়ন আরও বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেড করে। মাঝে মাঝে $৫ পিপস ভ্যালু দিয়েও স্ক্যাল্পিং করে। ৩ সপ্তাহের মাথায় আয়নের ব্যালেন্স $৩২০০ হল। আয়ন নিজের পারফরমেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট। ফরেক্স অনেক সহজ, কে বলেছে এত অ্যানালাইসিস লাগে? বেড়ে গেলে সেল দিলেই হয়, আবার কমে গেলে বাই। সহজ!!!
NFP নিউজ। আয়ন ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করে না। স্টপ লসও ব্যবহার করে না। এইসব নিউজ গুলো কোন কাজে আসে না। বরং মার্কেটে যে ভোলাটিলিটি সৃষ্টি হয়, তাতে ভাল স্ক্যাল্পিং করা যায়। আয়ন ০.৫ লট ($৫ পিপস ভ্যালু) দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করলো EURUSD বাই। হঠাৎ স্পাইকের কারনে মার্কেট ৯০ পিপস পরে গেল। আয়নের যেহুতু এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নেই, সে ভাবল নিশ্চয়ই মার্কেটে কিছু একটা হয়েছে। ভাবল প্রাইস তো একটু পরে বাড়বেই। সে ০.৫ লটে আরও একটি বাই ট্রেড ওপেন করল। মার্কেট এবার আরও পড়ছে। $৩২০০ থেকে আয়নের ইকুইটি এখন $১৫০০ ডলার। কি করবে বুঝতে পারছে না। যেহুতু প্রাইস কমছে, সে ভাবছে এতো তো কমার কথা না, একটু পরে প্রাইস আবার বাড়বে, তাই এখন যদি আরও ২টি ট্রেড ওপেন করা যায়, প্রাইস বাড়লে কম হলেও ব্যালেন্স $৫০০০ হয়ে যাবে। এবার ০.৫ লটে সে ২টি ট্রেড ওপেন করে দিব। প্রাইস একটু বাড়ল। দেখল ব্যালেন্স খুব দ্রুত রিকভার হচ্ছে। ইকুইটি এখন $২০০০ ডলার। সে কিছুটা আশান্বিত হল। হঠাৎ প্রাইস আরও ১০০ পিপস কমে গেল। আয়নের ৪টি ট্রেডই মারজিন কলের কারনে বন্ধ হয়ে গেল।
আয়নের ব্যালেন্স এখন $০.১০ মাত্র। নিজের কাজের কারনে সে অনুতপ্ত। কেন যে এট রিস্ক নিতে গেল? $৩২০০ থেকে যদি $১০০ আগে উইথড্র করে রাখতো। ইসস!!!
আবার ডিপোজিট করবে সে, একটু সাবধান হলে আর এটা হত না। পরবর্তীতে আরও সতর্ক থাকতে হবে তাকে। এবার $৫০০ কোনরকমে জোগাড় করল সে। ভাবল এবার একা ট্রেড করবে না, অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখল এখানে ফরেক্স শেখানো হয়। আয়ন সেখানে গিয়ে জায়েদ নামে এক ফরেক্স ট্রেডারের সাথে পরিচয় হল। তিনি নাকি অনেক অভিজ্ঞ ফরেক্স ট্রেডার, ৭ বছর থেকে ফরেক্স করেন, মাসে লাখ লাখ ডলার ফরেক্স থেকে লাভ করেন। তিনি বললেন, আমরা ফরেক্স সিগন্যাল দেই। মাসে ২৫০০ টাকা। ১০০% প্রফিট গ্যারান্টি। আয়ন ভাবল জায়েদ ভাইয়ের সাথে আগে কেন দেখা হলোনা? জায়েদ ভাই তাকে কিছু টেকনিক শিখিয়ে দিল। বলে দিল কখন স্টপ লস ব্যবহার না করতে। শুধু তারা যেভাবে বলে সেভাবে ট্রেড করতে হবে। আয়ন রাজি হল। আয়ন তার বন্ধু রাজকে বলল, দোস্ত আজ একজন জটিল ফরেক্স ট্রেডারের সাথে পরিচয় হল। জোশ ট্রেড করে। আমি এখন থেকে তার কাছ থেকে সিগন্যাল নিব। তার কাছে ভর্তি হয়েছি। রাজ বলল, যে মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করে, সে কেন ২৫০০ টাকায় সিগন্যাল দেয়? তার কাছে তো ২৫০০ টাকা কোন টাকাই হবার কথা না। আয়ন এসব কথায় কান দিল না। রাত ৮ টায় জায়েদ ভাই ফোন দিয়ে বলল, ১.৪৬০০ তে একটা বাই দাও। EURUSD এবার ১.৫০০০ যাবে শিওর। আয়ন কথামত বাই দিল। সে মোটামুটি টেনশন ফ্রি। প্রোফেসনাল ট্রেডারের সিগন্যাল ফলো করছে, তার প্রফিট আর ঠেকায় কে? সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে EURUSD ১.৪৪৫২ তে। জায়েদ ভাইকে ফোন দিল, ভাই কি করব? জায়েদ ভাই বলল, এটা মার্কেটের সাধারন মুভমেন্ট, প্রাইস ১.৫০ তে যাবেই। তুমি বরং ওই প্রাইসে আরও ১টা বাই ট্রেড ওপেন করে রাখো আর আমার সিগন্যালের ওপর আস্থা রাখো। আর যদি ১.৪৩০০ তে যায়, তবে আরেকটা বাই করো। ২ দিন পর, প্রাইস ১.৪০৯৮ এ। জায়েদ ভাইয়ের সিগন্যালে আয়নের ব্যালেন্স আবার জিরো। আয়ন এখন আর ফরেক্স ট্রেড করে না।

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৩

Forex: Dollar Climbs after FOMC Minutes Confirm September Taper

Though some may lament the level of volatility and trend development that followed this past session’s top fundamental release – the FOMC minutes – the event nevertheless proved bullish for the dollar and bearish for US equities. That is the kind of outcome that promotes the return of the market’s most prolific fundamental theme: risk-defined positioning. We have seen a positive correlation persist between the FX market’s favored reserve currency and the benchmark risk asset (US equities) throughout 2013. This presents a backdrop where the naturally-derived balance between fear and greed has softened while the distortion caused by the central bank’s stimulus program leverages its influence on capital allocation. Yet, as the Taper nears, we not only return to elemental sentiment; the market recognizes its risk exposure.
From the Fed’s record of discussion points from the July 31 policy meeting, we were given further evidence that the central bank will move to reduce its monthly stimulus purchases at the September gathering. This is not a revelation, rather it slowly increases the probability that the first step in a full-scale stimulus withdrawal will begin next month. And, the more likely the event, the heavier the positioning becomes to precede its outcome. The revelations from these minutes were that “almost all participants” confirmed they supported the Taper timeline that Chairman Bernanke laid out after the June rate decision. Elsewhere, the transcript showed “a few” were calling for patience before changing the pace of stimulus while “a few” suggested the need to move was close at hand. Before we consumed this report, we had already seen 65 percent of economists call a Taper in September while sharp moves from the likes of Treasury yields have indicated market complicity for weeks. The next phase of Taper speculation is for full scale risk aversion in delivering to strike. But it is unclear what escalates this fear.

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৩

Video Tutorial For Begainers

This Video tutorial is for beginners. Only for basic concept.


রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৩

ফরেক্স ট্রেডিং এর বেসিক ধারনা।

ফরেক্স কি?
উদহারণসরুপ, আমেরিকা বা USA এর কারেন্সি হছে ডলার, ব্রিটেন বা UK এর কারেন্সি হচ্ছে পাউন্ড। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ডলার বিক্রয় করে পাউন্ড অথবা পাউন্ড বিক্রয় করে ডলার কিনতে পারেন। ডলার অথবা পাউন্ড ব্যাতিতও আর বিভিন্ন দেশের কারেন্সি আছে যা ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।
কিভাবে ফরেক্স মার্কেট থেকে আয় করা সম্ভব?
বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সর্বদায় পরিবরতনশিল। আপনি পত্রিকায় দেখে থাকবেন যে কখনও কখনও ডলার টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে, আবার কখনও টাকা ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী হচ্চে। এরকম পৃথিবীর অধিকাংশ মুদ্রার বিপরিতেই হয়। সুতরাং, আপনার যদি ডলার কেনা থাকে, ডলারের বিপরীতে ইউরো এর দাম পরে গেলে আপনি ডলার বিক্রয় করে ইউরো কিনে রাখতে পারেন। আবার, ইউরো ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী হলে, ইউরো বিক্রয় করে অধিক ডলার পেতে পারেন।
হয়ত আপনার কাছে ১০০ ডলার ছিলো যা বিক্রয় করে আপনি ৮০ ইউরো ক্রয় করেছিলেন। পরবর্তীতে ইউরোর দাম বাড়ার পর তা বিক্রয় করে ১২০ ডলার পেলেন। এভাবে আপনি আয় করতে পারেন। শেয়ার মার্কেট এ শুধু শেয়ার এর দাম বাড়লেই (buy) আমরা প্রফিট করতে পারি। কিন্তু ফরেক্স মার্কেট এ, কোন কারেন্সি শক্তিশালী অথবা দুর্বল হক, দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রফিট করার সুযোগ আছে যেটা ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা।
ফরেক্স ট্রেড করার সুবিধাঃ
- আগের দিনে শুধুমাত্র বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারনে যে কেউই পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে পারে।
- মাত্র ১ ডলার দিয়ে ফরেক্স ট্রেড শুরু করা সম্ভভ। তাছারা প্রায় সব ব্রোকারই আপনাকে ফ্রী ডেমো ট্রেড করার সুবিধা দেবে, অর্থাৎ ভার্চুয়াল মানি দিয়ে। তাই প্রথমে আপনি নিখরচায় ডেমো ট্রেড করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারেন এবং ডেমো ট্রেড করে সাফল্য ফেলে ডিপোজিট করে রিয়েল ট্রেড শুরু করতে পারেন।
- ফরেক্স মার্কেট পরিধি অনেক বড় এবং এই মার্কেটকে ম্যানিপুলেট করা সম্ভভ না। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টক মার্কেট হচ্ছে নিউইয়র্ক স্টক মার্কেট এবং ফরেক্স মার্কেটের আকার তার থেকেও ২৫ গুন বেশি। মনে রাখবেন,ডলার বা ইউরো এর মূল্য কোন দেশের মূল্য কোনো দেশের সরকার নির্ধারণ করে দেয় না। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও আর্থিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মূল্য নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয়। আপনি যে দামে ডলার বা ইউরো কিনবেন, সেই একই দামে পৃথিবীর সব দেশে ডলার বা ইউরো ক্রয়-বিক্রয় হবে।
- ফরেক্স মার্কেট এ ট্রেড করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের লিভারেজ বা লোন সুবিধা পাওয়া যায়, আর তাই খুব অল্প মার্কেট মুভমেন্ট থেকেই আপনি ভাল প্রফিট করতে পারবেন।
- স্ক্যালপিং ফরেক্স এ খুব জনপ্রিয় একটি শব্দ। এর মানে হচ্ছে খুব অল্প সময়ের জন্য খোলা ট্রেড। ফরেক্স মার্কেটের খুব অল্প পরিবর্তনেও ভাল লাভ করা সম্ভভ। অনেকেই ১০ বা ১৫ সেকেন্ডের জন্য একটি ট্রেড ওপেন করে এবং প্রফিট পেলে তা নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যায়।
- ফরেক্স মার্কেট সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহের ৫ দিনই দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকে। আর তাই, আপনি ব্যাবসায়ি হোন বা চাকুরিজীবী, ফরেক্স মার্কেটে আপনি আপনার সুবিধামত ট্রেড করতে পারবেন।
- ফরেক্স ট্রেডিং আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন, বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর তাই পরিবারকে প্রচুর পরিমানে সময় দিতে পারবেন।
- ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য আপনাকে সব কিছু অনলাইনে করতে হবে আর অ্যাকাউন্ট ওপেনিং থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট বা উইথড্র করাও অনেক সহজ।
- আপনি যদি ভাল ট্রেড করতে পারেন, তাহলে অনেকেই আপনার সাথে ডিপোজিট করতে উৎসাহিত হবে এবং সেক্ষেত্রে আপনি তাদের ট্রেড পরিচালনা করতে পারেন এবং তাদের লাভের একটি অংশ আপনি পাবেন।
- সর্বোপরি একজন সফল ও দক্ষ ফরেক্স ট্রেডার এই মার্কেট থেকে প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারবেন।
উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়, একজন দক্ষ ও সফল ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, নিজেকে এই মার্কেটের যোগ্য করে তুলতে হবে। ফরেক্স মার্কেট থেকে যে কেউই কোন কিছু না জেনেও হয়ত প্রথম দিকে অনেক আয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের মতই চ্যালেঞ্জিং। না জেনে হয়ত প্রাথমিকভাবে সফল হওয়া যাবে যেটা স্টক মার্কেটও অনেকেও অনেকে হয়। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকতে হলে, এক্সপার্ট হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
আর একটি কথা, ফরেক্স মার্কেটে মন্দা বলে কিছু নেই। কারন স্টক মার্কেটে আপনি শুধু buy করতে পারেন, ফরেক্স মার্কেটে buy বা sell উভয়ই করতে পারবেন।
মনে রাখবেন,
When stock market is going down and down, in forex, one currency is always up!
ফরেক্স ট্রেডিং করার জন্য কি কি দরকার?
আপনার ইন্টারনেট কানেকশনসহ একটি পিসি অথবা উইন্ডোজ মোবাইল আছে? তাই যথেষ্ট।
আমি কিভাবে ডলার অথবা অন্যান্য মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করব?
ফরেক্স ট্রেড করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কোনো একটি ফরেক্স ব্রোকারের সাথে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে ও তাতে ডিপোজিট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খুব সহজেই ২ মিনিটে অনলাইনে ওপেন করা যায়। আপনি বিভিন্ন অনলাইন মুদ্রা যেমন পেপাল, মানিবুকার্স , অ্যালার্ট পে, লিবার্টি রিজার্ভ ইত্যাদি দিয়ে তাৎক্ষণিক আপনার আকাউন্টে ডিপোজিট করতে পারেন ও ফরেক্স ট্রেড করা শুরু করতে পারেন।
আপনার অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট সম্পন্ন হলে আপনি ট্রেড করা শুরু করতে পারবেন। ফরেক্স ট্রেডিং অনলাইনে সফটওয়ারের মাধ্যমে করতে হয়। এই সফটওয়ার আপনি বিনামূল্যে আপনার ব্রোকারের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সফটওয়ারটি ইন্সটল করে ব্রোকার প্রদত্ত ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তাতে সাইন ইন করলেই বিভিন্ন পেয়ারের চার্ট ও মূল্যতালিকা লোড হবে এবং আপনি আপনার ট্রেড ওপেন/ক্লোজ করতে পারবেন।
কি ট্রেড করা হয়?
সহজ উত্তর কারেন্সি। কারণ আমরা বাস্তবে কিছু কিনছি না। তাই এই ধরনের ট্রেডিং কিছুটা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে।
আমরা যখন একটি কারেন্সি কিনি তখন আমরা একটি দেশের কিছু শেয়ার কিনছি , একটি প্রতিস্থানের শেয়ার কেনার মত। কারেন্সির দাম হল ওই দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।
যখন আমরা জাপানিজ ইয়েন কিনি (buy), আমরা মুলত জাপানি অর্থনীতিতে একটি শেয়ার কিনি। আমরা মনে করি জাপানি অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আরও উন্নতি হবে। যখন আমরা ওই শেয়ারগুলো বিক্রি (sell) করে দেব, আশা করি আমরা লাভ করব।
সাধারণে, একটি কারেন্সির সাথে অন্য কারেন্সির আদান প্রদান হার সেই দেশটির অর্থব্যবস্থার তুলনায় অন্য দেশের অর্থব্যবস্থার প্রতিফলন।
Major Currencies
Money
কারেন্সি চিহ্নের তিনটি অক্ষর থাকে, যেখানে প্রথম দুইটি দেশের নাম নির্দেশ করে এবং তৃতীয়টি সেই দেশটির কারেন্সির নাম নির্দেশ করে।
যেমন NZD এর ক্ষেত্রে, NZ দিয়ে New Zealand বোঝানো হয়েছে, এবং D দিয়ে Dollar বোঝানো হয়েছে। সহজ, তাইনা?
উপরের কারেন্সিগুলো প্রধান কারন সেগুলোই সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।
Buck হল USD'র ডাক নাম।
USD-কে greenbacks, bones, benjis, benjamins, cheddar, paper, loot, scrilla, cheese, bread, moolah, dead presidents, coco and cash money নামেও ডাকা হয়।
PIPS (পিপস):
ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৪থ সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে PIP বা পিপ বলে। PIPS অথবা পিপস হচ্ছে PIP এর বহুবচন, যেমনঃ Market has changed 120 pips today. অর্থাৎ, মার্কেট আজকে ১২০ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকে পিপস কে পয়েন্ট ও বলে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে pips ই বহুল প্রচলিত।
পিপস কি , তা বুঝতেই অধিকাংশ মানুষ প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলে। দেখা যাক, আমরা কিছু উদহারনের সাহায্যে সহজ করে শিখতে পারি কিনা।
উদহারন ১:
আপনি আপনার টার্মিনাল (আপনার ব্রোকার প্রদত্ত ট্রেড করার সফটওয়ার) টি ওপেন করলেন। দেখলেন, EUR/USD ছিল ১.৪৩৪০ এবং বর্তমানে তা ১.৪৩৪৫ । 
কয় পিপস পরিবর্তন হল?
বের করার নিয়মঃ বেশি-কম = ১.৪৩৪৫ - ১.৪৩৪০ = ০.০০০৫
আমি আগেই বলেছি পিপস গণনা শুরু হয়, দশমিকের পর চার নাম্বার সংখ্যা থেকে। ভুলে যান দশমিক, আসুন সহজ করে হিসাব করিঃ
৪৩৪৫-৪৩৮০ = ৫
অর্থাৎ, মার্কেট ৫ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে।
তাহলে এবার বলুন,
উদহারন ২:
GBB/USD ১.৫৬৩০ থেকে ১.৫৬৩৯ তে গেল। মার্কেট কত পিপস মুভ করল?
৫৬৩৯-৫৬৩০ = ৯ পিপস।
আরও কিছুঃ
মার্কেট মুভমেন্ট (EUR/USD)
আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৪৫০ - ৩৪৩২ = ১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০ = ৩৫৫০ - ৩৪৫০ = ১০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আগে ছিল ১.৩৭৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৭৫০ - ৩৪৩২ = ৩১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আগে ছিল ১.৪৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৫০ = ৪৪৫০ - ৩৪৫০ = ১০০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিজেকে টেস্ট করে নিনঃ
ধাঁধা ২:
EUR/USD আগে ছিল ১.৩৫৭০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০। 
মার্কেট কত পিপস মুভ করল?
যদি পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।
পিপস সম্পর্কে স্বছ ধারণা থাকা প্রয়োজন, কেননা -
ফরেক্স মার্কেটের মুভমেন্ট পিপস এর সাহায্যে গণনা করা হয়। প্রায়শই শুনবেন ইউরো/উ.এস.ডি আজকে ২০০ পিপস বেড়েছে। মার্কেট খুব মুভ করছে, ৫ মিনিটেই ১০০ পিপস বেড়েছে ইত্যাদি।
Pipettes (পিপেটিস):
কিছু কিছু ব্রোকারে প্রাইস দশমিকের পরে ৫ ডিজিট থাকে। যেমনঃ ১.৪২৫৬১. এই পঞ্চম ডিজিট তাই হল পিপেটি। সুতরাং প্রাইস যদি ১.৪২৫৬১ থেকে ১.৪২৬৬৭ এ যায়, তবে বুঝতে হবে ১০ পিপস ৬ পিপেটিস বেড়েছে অথবা ১০৬ পিপেটিস পরিবর্তন হয়েছে।
Currency Pair (কারেন্সি পেয়ার):
শেয়ার মার্কেটের নিয়ম হচ্ছে যেকোনো শেয়ারের মূল্য সে দেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হবে। যেমন, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে কোনো শেয়ারের মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়।
কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এভাবে কোন দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন মূল্য থাকতে পারে না। যেমনঃ ১ ডলার দিয়ে ৭৩ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়। এবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৭০ ইউরো অথবা ০.৯৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া সম্ভব। আবার যদি জাপানিজ ইয়েনের কথা ধরি, তাহলে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০ ইয়েন পাবেন। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে?
এই জন্যই ফরেক্স মার্কেটে সবকিছু কারেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে ট্রেড হয়। 
যেমন ধরুন, EUR/USD (ইউরো/উএসডি), একটি কারেন্সি পেয়ার। বর্তমানে 1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন। ওহ, বলতে ভুলে গেছি, USD = United States Dollar বা আমেরিকান ডলার। সহজ করে বললে, যেটাকে আমরা ডলার বলে চিনি।
চলুন দেখে নেই আরও কিছু কারেন্সি পেয়ারঃ
1 AUD/USD = 1.0543 , এর মানে হচ্ছে ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে আপনি ১.০৫৪৩ আমেরিকান ডলার পাবেন।
1 GBP/USD = 1.6422 , এর মানে হচ্ছে ১ পাউন্ড দিয়ে আপনি ১.৬৪২২ আমেরিকান ডলার পাবেন।
1 NZD/USD = 0.8177 , এর মানে হচ্ছে ১ নিউজিল্যান্ড ডলার দিয়ে আপনি ০.৮১৭৭ আমেরিকান ডলার পাবেনচা
1 USD/JPY = 80.29 , এর মানে হচ্ছে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০.২৯ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।
1 EUR/JPY = 115.91 , এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১১৫.৯১ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।
এখন বুঝলেন কারেন্সি পেয়ারের ব্যাপারটা?
ভাই, আমি যদি একটু ঘুরায় লিখি? মানে আপনি তো লিখলেন যে, 1 EUR/USD = 1.4434 আমি যদি এভাবে EUR/USD না লিখে USD/EUR লিখি, তাহলে কোনো সমস্যা আছে?
অবশ্যই নেই। তবে মনে রাখবেন, কারেন্সি পেয়ারের প্রথম কারেন্সি নির্দেশ করে তা দিয়ে আপনি কত পরের কারেন্সিটা পাবেন। 
1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন।
তাহলে, 1 USD/EUR নির্দেশ করবে ১ ডলার দিয়ে আপনি কত ইউরো পাবেন। উত্তর হবে, ঠিক উল্টো, 1/1.4434 বা ০.6928
একটা ছোট্ট পরীক্ষা নেই আপনার, দেখি আপনি কিছু শিখতে পারলেন না। উত্তর মিলিয়ে নিতে পারবেন, এই পোষ্টের নিচে দেওয়া আছে। সাবধান, উত্তর কিন্তু চুরি করবেন না! 
ধাঁধা ১:
1 EUR/GPB = 0.8708 , এর অর্থ কি? চাইলে উপর থেকে সাহায্য নিতে পারবেন, আর নিচ থেকে উত্তর মিলিয়ে নিতে পারবেন।
একটা প্রশ্ন এখনও রয়েই গেল, আপনি প্রতিবার দশমিকের পরে এতগুলো সংখ্যা নিচ্ছেন কেন? যেমন, 1 EUR/USD = 1.4434 লিখেন কেন? 1.44 লিখলেই তো হয়। শেয়ার মার্কেটে তো এই দশমিকের ভেজাল নাই, সব শেয়ারের মূল্য হয় ২০ টাকা, নয় ৬০ টাকা নতুবা হয়ত ১২০০ টাকা। কোনদিন তো শেয়ারের দাম ২০.২৫৪৩ তা শুনি নাই। এত ভেজাল কেন?
প্রথমত ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ার হচ্ছে দুইটা কারেন্সির অনুপাত। যেমন, EUR/USD এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে কত ডলার পাব। শেয়ার মার্কেটে তো আর আমরা ১ টা জনতা ব্যাঙ্কের শেয়ার দিয়ে মেঘনা সিমেন্টের কয়টা শেয়ার পাবো তা এর হিসাব করি না। আর তাই, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে অধিকাংশ শেয়ারের দাম পুরন সংখ্যায়, তবে কিছু শেয়ারের দাম দশমিকে।
এর ফরেক্স মার্কেটে দশমিকের পর ৪ তা ঘর পর্যন্ত নেয়া হয়েছে কারন ফরেক্স মার্কেটে সাধারনত মুভমেন্ট দশমিকের পরে ৩ আর ৪ নাম্বার ঘরেই বেশি হয়। তাই এটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছেঃ
চলুন দেখে নেই এক নজরে ৬ জুন থেকে ১০ জুন, ২০১১ , এই ৫ দিন এ EUR/USD এর মূল্য:
EUR/USD
তারিখ - দিনের সর্বোচ্চ - দিনের সর্বনিম্ন
৬ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৫৮ - ১.৪৬৫৮
৭ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৬৪ - ১.৪৬৯৬
৮ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৬৫ - ১.৪৬৯৫
৯ জুন, ২০১১ - ১.৪৪৭৮ - ১.৪৬৫৩
১০জুন, ২০১১ - ১.৪৩২৩ - ১.৪৫৫১
দেখতেই পাচ্ছেন যে মার্কেট যা মুভ করছে তা মূলত দশমিকের পরে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ঘরে হচ্ছে। 
[ধাঁধা ১ উত্তর: 1 EUR/GPB = 0.8708 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ­ 0.8708 পাউন্ড পাবেন]
লট/ভলিউমঃ
লট ব্যাপারটি অনেক সহজ। কিন্তু আপনি যখন ইউনিটের হিসাবে যাবেন, তখন তা আপনার কাছে জটিল মনে হবে। তাই আমরা এখানে ইউনিটের হিসাবে যাব না বরং সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবো। ইউনিটের ক্যালকুলেশন জানতে বেবীপিপসে দেখুন।
ফরেক্স মার্কেটে আমরা প্রতি পিপস মুভমেন্টে লাভ করতে পারি। অর্থাৎ প্রাইস ১.১৭১০ থেকে ১.১৭২০ এ গেলে আমাদের ১০ পিপস লাভ বা লস হবে। লট/ভলিউমের মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিবো যে প্রতি পিপস আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে গেলে আমাদের কি পরিমান লাভ বা লস হবে।
ফরেক্স ব্রোকারদের আমরা সুবিধার জন্য ৩ ভাগে ভাগ করছি।
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারমিনি লট ব্রোকারমাইক্রো লট ব্রোকার
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে ১ লট = $১০/পিপস। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে ১ লট = $১/পিপস। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে ১০ লট = $১/পিপস।তারমানে, আপনি স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১০x১০=$১০০. অনুরুপ লস হলেও $১০০ হবে।কিন্তু, আপনি মিনি লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১x১০=$১০. অনুরুপ লস হলেও $১০ হবে।আর, আপনি মাইক্রো লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $০.১x১০=$১. অনুরুপ লস হলেও $১ হবে।
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারেঃ
১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০/পিপস০.১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১/পিপস০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $০.১০/পিপস১০ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০০/পিপস
মিনি লট ব্রোকারেঃ
১ মিনি লট = $১/পিপস০.১ মিনি লট = $০.১০/পিপস০.০১ মিনি লট = $০.০১/পিপস১০ মিনি লট = $১০/পিপস
মাইক্রো লট ব্রোকারেঃ
১ মাইক্রো লট = $০.১০/পিপস০.১ মাইক্রো লট = $০.০১/পিপস০.০১ মাইক্রো লট = $০.০০১/পিপস১০ মাইক্রো লট = $১/পিপসনিশ্চয়ই বুঝে গেছেন স্ট্যান্ডার্ড লট, মিনি লট এবং মাইক্রো লটের পার্থক্য। ব্রোকাররা তাদের সুবিধা মত লট সাইজ ঠিক করে।অধিকাংশ ব্রোকার আপনাকে সর্বনিম্ন ০.০১ লটে ট্রেড করতে দিবে। অর্থাৎ, স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১০ সেন্ট। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১ সেন্ট। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ০.১ সেন্ট। সুতরাং আপনার ক্যাপিটাল যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মিনি লট বা মাইক্রো লট ব্রোকারে কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে পারবেন।শুধু যে আপনি ১ লট, ০.১ লট অথবা ০.০১ লটে ট্রেড করতে পারবেন তাই নয়, আপনি চাইলে ২.৫ লট, ১.৩ লট এরকম কাস্টম লটেও ট্রেড করতে পারেন।
কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না স্ট্যান্ডার্ড লট?
ট্রেডিং পয়েন্টের মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন। ইন্সটাফরেক্স, হটফরেক্স, লাইটফরেক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার। এফ.বি.এস, এফ. এক্স. অপ্টিমাক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট, তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে প্রশ্ন করুন। অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে। অথবা তাদের সাথে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন। যদি দেখেন যে প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আর যদি দেখেন যে $১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার। ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা মাইক্রো লট ব্রোকার। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারের একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে একেক রকম লট সাইজ থাকে।
টাইমফ্রেম:
টাইমফ্রেমের মাধ্যমে আমরা কোন নির্দিষ্ট ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ১ ঘন্টা, ১ সপ্তাহ বা ১ মাসে প্রাইস সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল বা কমেছিল ইত্যাদি আমরা জানতে পারি। যদি আমরা ১টি ৫ মিনিটের ক্যানডেল দেখি, তাহলে তা থেকে আমরা বুঝতে পারবোঃকোন প্রাইসে ক্যানডেলটি শুরু হয়েছেকোন প্রাইসে ক্যানডেলটি ক্লোজ হয়েছেপ্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বোচ্চ কত বেড়েছিলপ্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বনিম্ন কত কমেছিলসাধারনত নিম্নোক্ত টাইমফ্রেমগুলো বেশী ইউজ হয় কারন এগুলো মেটাট্রেডার ৪ এ দেয়া আছে। কিন্তু মেটাট্রেডার ৫ এ আপনি আরো কাস্টম টাইমফ্রেম ব্যবহার করতে পারবেন।M1M5M15M30H1H4D1W1MNআপনি কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমের কোন ১টি ক্যানডেল দেখলেই বুঝতে পারবেন ঐ সময়ে প্রাইসের মুভমেন্ট কেমন হয়েছিল।
লাল দাগ দিয়ে সিলেকটেড ক্যানডেলটি দেখুন। এটা দেখে ৪ ঘন্টায় প্রাইস অ্যাকশন বোঝা যাচ্ছে।
কোন টাইমফ্রেমে ট্রেড করবো?
এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ট্রেড করতে চান। আপনি যদি স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন তবে আপনার উচিত M1, M5 অথবা M15 এ ট্রেড করা। আপনি যদি সাধারন কিংবা একটু লং টার্ম ট্রেড করতে চান, তবে আপনার M30, H1 অথবা H4 এ ট্রেড করা উচিত। সুইং বা পজিশন ট্রেড করতে আগ্রহী হলে আপনার সপ্তাহ অথবা মাসের টাইমফ্রেমগুলোকে অ্যানালাইসিস করা উচিত।
স্প্রেডঃ
আপনি একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে। এটাকেই স্প্রেড বলে। ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা চার্জ হিসেবে কেটে নেয়।আপনি ধরুন ১.৭৪৪৫ এ GBPUSD বাই করলেন, কিন্তু তা ১.৭৪৪৯ এ ওপেন হবে অর্থাৎ ৩ পিপস ফি প্রযোজ্য হয়েছে। আপনি যদি $১ পিপস ভ্যালু দিয়ে ট্রেড ওপেন করে থাকেন তবে ট্রেডটি $৩ লসে ওপেন হবে।
বিভিন্ন পেয়ারের স্প্রেড বিভিন্ন হয়। আবার বিভিন্ন ব্রোকার ভেদেও স্প্রেড কম বেশি হতে পারে। যেমন Instaforex এ EURUSD এর স্প্রেড ৩ পিপস। কিন্তু Fxoptimax এ EURUSD এর স্প্রেড ২ পিপস। কিছু কিছু পেয়ার এ স্প্রেড ৩০ পিপস পর্যন্ত বা তার বেশী হতে পারে। তাই অপরিচিত পেয়ার ট্রেড করার আগে স্প্রেড কত তা দেখা নেয়া উচিত।
স্টপ লস এবং টেক প্রফিটঃ
স্টপ লস (stop loss): স্টপ লসের মাধ্যমে আপনি আপনার লসে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইস এ বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।টেক প্রফিট (take profit): টেক প্রফিটের মাধ্যমে আপনি আপনার লাভে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইসে বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।ধরুন, আপনি ১.৩৫৪০ তে একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন। আপনি চাচ্ছেন ৫০ পিপস লাভ করবেন এবং ৫০ পিপসের বেশি লস করবেন না। তাহলে আপনি ৫০ পিপস স্টপ লস এবং ৫০ পিপস টেক প্রফিট সেট করে রাখতে পারেন। আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকলে বা কোন স্পাইকের ফলে হঠাৎ প্রাইস বেড়ে বা কমে গেলে, স্টপ লস বা টেক প্রফিটের প্রাইসে অটোমেটিক ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে।লিভারেজ কি?লিভারেজ বা মার্জিন লোন হচ্ছে আপনার ক্যাপিটাল এর উপর সর্বোচ্চ কত গুন লোন আপনার ফরেক্স ব্রোকার আপনাকে দিবে।ধরুন, আপনার ব্যাল্যান্স বা ক্যাপিটাল হচ্ছে ১০০ ডলার । আপনি যদি ১;২০০ লিভারেজ ব্যাবহার করেন, তাহলে আপনি ট্রেড করার সময় আপনার ব্রোকার আপনাকে সর্বোচ্চ্য ২০০ গুন পর্যন্ত লোন দিবে। এখন এইটা আপনার ব্যাপার আপনি কত পরিমান লোন নিবেন। সুতরাং, ১০ ডলার দিয়ে ১০x২০০=২০০০ ডলার ট্রেড করতে পারবেন।
ভালোই তো .... যদি ২০০ গুন পর্যন্ত লোন পাই, তাহলে নিবো না কেন? স্টক মার্কেটে তো ১:২ লোনই দিতে চায় না। 
ধরুন, আপনি ১০ ডলার ডিপোজিট করলেন, ঠিক করলেন লিভারেজ ব্যাবহার করবেন, ১:১ , মানে কোন লোন নিবেন না। সেক্ষেত্রে, ব্রোকার আপনাকে বড় সাইজের কোন ট্রেড ওপেন করতে দিবে না। ওই ১০ ডলার দিয়ে যতটুকু বড় ট্রেড ওপেন করা যায়, ঠিক ততটুকুই ট্রেড ওপেন করতে দিবে। সেক্ষেত্রে, মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে হয়ত আপনার ১ ডলার লাভ হবে। সাধারনত বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ার প্রতিদিন ১০০-৩০০ পিপস মুভ করে।তো আপনি ভাবলেন, লোন নিবেন ও আরও বড় ট্রেড ওপেন করবেন যাতে লাভ বেশি হয়। আপনাকে যদি কোন ব্রোকার ১:২০০ লিভারেজ অফার করে, তাহলে আপনি ইচ্ছা করলে ১০ ডলার দিয়ে ২০০০ ডলার ট্রেড করতে পারবেন। আর তাই, আগে যা লাভ হতো, এখন তার থেকে ২০০ গুন বেশি লাভ হবে। একইভাবে, আগে যা লস হতো, আপনি যদি ১:২০০ লিভারেজ এর পুরো ব্যাবহার করেন, লসও তার ২০০ গুন বেশি হবে। যদি আগে মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে ১ ডলার লাভ হতো, এখন তাহলে ২০০ ডলার লাভ হবে।ব্রোকার লোন আপনাকে ঠিকই দিবে। লাভ হলে তো ভালোই, লস এর ক্ষেত্রে আপনার লস যদি কোন সময় আপনার ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। ব্রোকার কোন অবস্থাতেই আপনার যা ক্যাপিটাল আছে, তার থেকে বেশি লসে আপনার ট্রেড চলতে দিবে না। এইটাকে ফরেক্সে মার্জিন কল বলে, বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে বলে ফোর্সড সেল।
ভাই, এইটা তো ভয়ানক কথা বললেন! বেশি লিভারেজ ব্যাবহার করে ট্রেড ওপেন করতে গিয়ে আমার লস যদি ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে কি ফতুর হয়ে যাব নাকি?
সোজা বাংলা কথায়, হ্যা! সুতরাং, লিভারেজ যাই সেট করুন না কেন, ট্রেড খোলার সময় কখনই ব্যালেন্স এর অনুপাতে বেশি বড় ট্রেড খুলবেন না। কিছু মানুষ বলে যে ফরেক্স নাকি একদিনেই ক্যাপিটাল দুই গুন, তিন গুন করা সম্ভভ। ভাগ্য থাকলে অবশই সম্ভব। কিন্তু এভাবে ঝুকি নিয়ে ট্রেড করলে ধরা একদিন না একদিন খেতেই হবে।কারেন্সি জোড়/পেয়ারফরেক্স ট্রেডিং হল একই সাথে একটি কারেন্সির ক্রয় এবং অন্য কারেন্সির বিক্রয়। কারেন্সি কোন ব্রোকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং Pair বা জোড়ায় ট্রেড করা হয়।উদাহারনসরূপঃ ইউরো ও ইউ. এস. ডলার এর জোড় EUR/USD অথবা ব্রিটিশ পাউন্ড ও জাপানিজ ইয়েন এর জোড় GBP/JPY.আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং করবেন, আপনাকে Pair বা জোড় এর মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে হবে।মনে করুন, এই রশির দুই প্রান্তে দুটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে, কখন কোন কারেন্সি শক্তিশালী তার ওপর ভিত্তি করে।প্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:নিচের কারেন্সি পেয়ারগুলোকে প্রধান কারেন্সি পেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারেন্সি পেয়ার গুলো USD পেয়ার এবং সহসাই ট্রেড করা হয়। এই প্রধান পেয়ার গুলোর তারল্য সবচেয়ে বেশি এবং এগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।






প্রধান ক্রস-কারেন্সি অথবা অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:ইউ. এস. ডলার ব্যাতিত কারেন্সি পেয়ারসমূহকে ক্রস-কারেন্সি পেয়ার অথবা শুধু ক্রস পেয়ার বলা হয়। প্রধান ক্রসগুলো অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার নামেও পরিচিত। সবচেয়ে বেশি ট্রেডকৃত ক্রস পেয়ারগুলো এসেছে - EUR, GBP এবং JPY থেকে। Euro Crosses
 Yen Crosses
Pound Crosses
Other Crosses
Exotic Pairsএকটি প্রধান কারেন্সির সাথে আরেকটি কারেন্সি পরিপুরক হিসেবে যেই পেয়ারে যুক্ত হয়, তাকে Exotic পেয়ার বলে।
কিছু কিছু ফরেক্স ব্রোকারে এই কারেন্সি পেয়ারগুলো ট্রেড করা যায়। এগুলো প্রধান এবং ক্রস পেয়ার গুলোর মত অত্যাধিক ট্রেড করা হয়না।Exotic পেয়ারগুলোর স্প্রেড EUR/USD অথবা USD/JPY এর তুলনায় দুই অথবা তিন গুন বেশি। তাই যদি আপনি এই Exotic পেয়ারসমূহ ট্রেড করতে চান, তবে তা ভেবে করবেন।কিভাবে ফরেক্সে লাভ/লস হয়ফরেক্স মার্কেটে আপনি বাই (buy) অথবা সেল (sell) করবেন।একটি ট্রেড খোলা খুবই সোজা। ট্রেড খোলার পদ্ধতি সহজ এবং আপনার যদি স্টক মার্কেটে ট্রেড করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি তা আর তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন।মনে করুন আপনি ১.১৮০০ এক্সচেঞ্জ রেটে  EUR/USD - তে ১০,০০০ ইউরো কিনলেন $১১,৮০০ ডলার দিয়ে। দুই সপ্তাহ পর EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে ১.২৫০০ হল। তখন আপনি $১২,৫০০ ডলারে তা বিক্রি করলে আপনার লাভ হবে $৭০০ ডলার।এক্সচেঞ্জ রেট হল একটি কারেন্সির সাপেক্ষে আরেকটি কারেন্সির দামের অনুপাত। যেমনঃ USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে, কত ইউ. এস. ডলার এর বিনিময়ে ১ সুইস ফ্রাঙ্ক কেনা যাবে, অথবা ১  ইউ. এস. ডলার কিনতে কত সুইস ফ্রাঙ্ক প্রয়োজন।
কিভাবে ফরেক্স কোটেশন পড়তে হয়
প্রতিটি ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন। তাই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।GBP/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃGBP/USD quote
স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কিউটো (quote) কারেন্সি।এখানে GBP হল বেস (base) কারেন্সি এবং USD হল কিউটো (quote) কারেন্সি।বাই (buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি দিতে হবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার জন্য ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।সেল (sell) করার সময়,  এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি পাওয়া যাবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করলে আপনি ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার পাবেন।বেস কারেন্সি হল বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি। যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কিউটো কারেন্সি USD বিক্রি করছেন। সহজ কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা।আপনি কারেন্সি পেয়ারটি বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি শক্তিশালী হবে। এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে।
লং/সর্ট (long/short):
প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাই করবেন না সেল করবেন।আপনি যদি বাই করতে চান (বেস কারেন্সি কেনা এবং কিউটো কারেন্সি বিক্রি করা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম বেড়ে যাক এবং আপনি সেটা বিক্রি করে দিবেন আরও বেশি দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে লং (long) অথবা লং পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, লং = বাই (long = buy)।আপনি যদি সেল করতে চান (বেস কারেন্সি বিক্রি করা এবং কিউটো কারেন্সি কেনা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম কমে যাক এবং আপনি সেটা কিনবেন আরও কম দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে শর্ট (short) অথবা শর্ট পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, শর্ট = সেল(short= sell)।
বিড/আস্ক (bid/ask):
EUR/USD quote
সব ফরেক্স কোটেশনে ২ টি প্রাইস দেখান হয়। বিড এবং আস্ক। প্রায় সবক্ষেত্রে বিড প্রাইস, আস্ক প্রাইস থেকে কম হয়।বিড হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি কিনতে চায়। অর্থাৎ, সেল করার জন্য বিড হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।আস্ক হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি বিক্রি করতে চায়। অর্থাৎ, বাই করার জন্য আস্ক হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।বিড এবং আস্ক এর পার্থক্যই স্প্রেড (spread) নামে পরিচিত।EUR/USD -র উপরের কোটেশনে বিড প্রাইস হল 1.3456 এবং আস্ক প্রাইস হল 1.3458.অর্থাৎ, এখানে স্প্রেড 2 পিপস।আপনি যদি সেল ক্লিক করেন তবে আপনি 1.3456 -এ সেল করবেন। আর যদি বাই ক্লিক করেন, তবে আপনি 1.3458 -এ বাই করবেন।ডেমো অ্যাকাউন্ট কি? কিভাবে ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন?
ডেমো অ্যাকাউন্টঃ
আপনি হয়ত ফরেক্স ট্রেড করতে আগ্রহী। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে ফরেক্স ট্রেড করে। অনেকের কাছেই পিপস, লিভারেজ এগুলো শুনেছেন, কিন্তু ট্রেড না করায় এগুলো কিছুই বুঝতে পারছেন না। তাই আপনি হয়ত শুরুতেই ফরেক্সে ইনভেস্ট করতে ভয় পাচ্ছেন। কারন যেহুতু কিছুই পারেন না, লস করার সম্ভবনাটাই বেশী। কিন্তু এই আধুনিক যুগে আপনি কিন্তু কোন টাকা খরচ না করেই টেস্ট ট্রেড করতে পারেন। এজন্য ব্রোকাররা ডেমো ট্রেডের ব্যবস্থা রেখেছে। ডেমো অ্যাকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেডিং প্রাকটিস করতে পারবেন। আপনি ডেমোতে লস করতে পারেন, এমনকি পুরো ব্যালেন্স উড়িয়ে দিতে পারেন, কোন সমস্যা নেই। এটা শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর জন্য। আপনি যত ট্রেড করবেন, আপনি তত ট্রেড শিখবেন। আপনি ভালভাবে ট্রেডিং শেখার আগে আপনার রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত নয়। কারন তাহলে কিন্তু আপনার লস করার সম্ভবনাই বেশী থাকবে। তাই ডেমো ট্রেড করে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখনই শুধুমাত্র রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত।
কতদিন ডেমো ট্রেডিং করা উচিত?
কমপক্ষে ২ মাস ডেমো ট্রেড করা উচিত। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।
ডেমো ট্রেড করলে কি লাভ?
ডেমো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ফরেক্সের বিভিন্ন কৌশল গুলো শিখতে পারবেনবিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্রাটেজি টেস্ট করতে পারবেনআপনার লস করার কারন গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তা শুধরে নিতে পারবেননতুন কোন EA কিংবা ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন

সর্বমোট আপনার ট্রেডিংকে আরও উন্নত করার জন্য ডেমো ট্রেডিং আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে।
কিভাবে ডেমো ট্রেড শুরু করবেন?
ডেমো বা রিয়েল ট্রেড করার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। যেটাকে ফরেক্সের ভাষায় বলা হয় ট্রেডিং টার্মিনাল। অধিকাংশ ব্রোকার মেটাট্রেডার টার্মিনাল ব্যবহার করে। আমাদেরকেও একটি মেটাট্রেডার টার্মিনাল ডাউনলোড করতে হবে।। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন এবং মেটাট্রেডার প্লাটফর্ম ডাউনলোড করুন।►ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুনডাউনলোড করার পর আপনার মেটাট্রেডার টার্মিনালটি ওপেন করুন।ছবি পোস্ট করা হয়েছে
চলুন এখন একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যাক।প্রথমে File থেকে Open an account এ ক্লিক করুন।ছবি পোস্ট করা হয়েছে
নিচের এই উইন্ডোটি আসবে। এটি ফিল-আপ করুন। তারপর Next এ ক্লিক করুনঃছবি পোস্ট করা হয়েছে
InstaForex-Demo.com সিলেক্ট করুন এবং Next এ ক্লিক করুনঃছবি পোস্ট করা হয়েছে
ডেমো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এখন অ্যাকাউন্ট নং এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষন করে Finish এ ক্লিক করুন।আপনার প্রথম ট্রেডআমরা ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। ডেমো অ্যাকাউন্টও ওপেন করেছি। এখন আমরা ট্রেড শুরু করব। কিভাবে আমরা একটি ট্রেড ওপেন করে তা ক্লোজ করতে পারি তা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।মেটাট্রেডারে অ্যাকাউন্টে লগিন করার পর এই স্ক্রীনটি দেখতে পাবেন।
EURUSD তে ট্রেড ওপেন করার জন্য "Market Watch" উইন্ডো থেকে EURUSD তে ডাবল ক্লিক করুন।
নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে। EURUSD বাই করতে চাইলে "BUY" এ ক্লিক করুন।
নিচের মত একটি ট্রেড ওপেন হবে। স্প্রেডের কারনে ট্রেডটি কিছু লসে ওপেন হবে।
Stop loss বা Take profit সেট করতে চাইলে SL বা TP তে ডাবল ক্লিক করুন।
একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট করতে পারবেন।
দেখুন স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট হয়ে গেছে। ঐ প্রাইসে গেলে ট্রেড একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে।
ট্রেডটি এখন $১ লাভে আছে। এখন আপনার ইকুইটি $৫০০১, কিন্তু ব্যালেন্স $৫০০০. ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলে আপনার ব্যালেন্স $৫০০১ হয়ে যাবে। SL/TP প্রাইসে গেলে ট্রেডটি একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এখনই ক্লোজ করে দিতে চান, তবে আপনি প্রফিটের ওপর ডাবল ক্লিক করুন।
দেখবেন ট্রেড ক্লোজ করার জন্য একটি উইন্ডো ওপেন হবে। হলুদ ক্লোজ বাটনে ক্লিক করুন।
ট্রেডটি $১ প্রফিটে ক্লোজ হয়ে গেছে।
এখন আপনার নতুন ব্যালেন্স $৫০০১.
 ফরেক্স অথবা স্পট ফরেক্স হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি একটি দেশের কারেন্সি বিক্রয় করে আর একটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করতে পারবেন।